গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে নিখোঁজ ট্রলার
নিজস্ব প্রতিনিধি,রায়দিঘী : ইতিমধ্যেই রুপোলি শস্যের খোঁজে গভীর সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছে মৎস্যজীবীরা। গভীর সমুদ্রে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা । বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনায় ১৮জন মৎস্যজীবীকে(Fisherman) নিরাপদে উদ্ধার করেছে অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলাররা। সে সকল মৎস্যজীবীরা সবাই নিরাপদে রয়েছে এবং সুস্থ রয়েছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে ইলিশের সন্ধানে বেরিয়ে ১৩ জন মৎস্যজীবী সহ রায়দীঘির একটি ট্রলার নিখোঁজ। নিখোঁজ ট্রলার খোঁজে ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে(Bay Of Bengal) তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ই জুন সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রায়দিঘির ঘাট থেকে এফবি মাতৃ আশীষ নামে একটি মৎস্যজীবী ট্রলার ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে। এরপর গত সোমবার থেকে ওই মৎস্যজীবী ট্রলারে সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ১৩ জন মৎস্যজীবী সহ নিখোঁজ ওই ট্রলারটির খোঁজে উপকূল রক্ষীর বাহিনীর সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের বাড়ি রায়দিঘি থানা এলাকায়। এই বিষয়ে রায়দিঘী ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলোক হালদার তিনি জানান, গত ১৫ জুন রায়দিঘি থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে গভীর সমুদ্রে(Sea) ইলিশের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছে এফবি মাতৃ আশীষ নামে একটি ট্রলার কিন্তু গত সোমবার থেকে সেই ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে মৎস্য দপ্তরের।
কার্যত বঙ্গোপসাগরে ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ঐ ট্রলার। এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বিগ্ন বেড়েছে। মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সাথে নিখোঁজ মৎস্যজীবী সহ ঐ ট্রলারটির খোঁজে বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই চলার থেকে খুঁজে পাবে উপকূল রক্ষী বাহিনী। কার্যত নিজেদের বাড়ির লোক যাতে নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারে সেই দিকেই চেয়ে রয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা।