For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

অকাল বৃষ্টিতে শুধু হুগলি জেলাতেই ক্ষতির পরিমাণ ১৫০০ কোটি

অকাল বৃষ্টির মুখে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার আলু ও ধান চাষ। ধাক্কা খেয়েছে সবজি ও ফুলের চাষও। শুধু হুগলিতেই ক্ষতির পরিমাণ ১৫০০ কোটি টাকা।
05:31 PM Dec 16, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
অকাল বৃষ্টিতে শুধু হুগলি জেলাতেই ক্ষতির পরিমাণ ১৫০০ কোটি
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মিগজিউম বাংলায় সরাসরি আছড়ে পড়েনি। তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশেই সে হানাদারি চালিয়েছে। তারপর শক্তি খুইয়ে সে এগিয়ে এসেছে ওড়িশা হয়ে বাংলার পথে। যার জন্য কিছুদিন আগে অকাল বৃষ্টির মুখে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একাধিক জেলার আলু ও ধান চাষ। ধাক্কা খেয়েছে সবজি ও ফুলের চাষও। এখন যখন সেই সব জেলার শস্যহানির সমীক্ষা রিপোর্ট রাজ্যের কাছে জমা পড়ছে তখন দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র হুগলি জেলাতেই(Hooghly District) ক্ষয়ক্ষতির(Damage of Crops) পরিমাণ ১৫০০ কোটি টাকা। ওই জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতের ১৯২১টি মৌজা এবং ১২টি পুর এলাকার ৭৪টি মৌজায় আমন ধান, আলু, ডালশস্য, বাদাম, সর্ষে, পেঁয়াজ এবং আনাজ মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ এটাই দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষির(Damaged Farmers) সংখ্যা ৩৬ হাজার ২৯৪জন। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি, ধান অনেকটাই ঘরে উঠে গেলেও নতুন বসানো আলু আর আনাজের ১০০ শতাংশই নষ্ট হয়েছে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ ও স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ব্লক, মহকুমা এবং জেলা স্তরের কৃষি আধিকারিকেরা মাঠে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। তাঁরা মাটি খুঁড়ে আলুর পচন হচ্ছে কি না দেখেছেন। আনাজের গোড়া পচেছে না কি দেখেছেন। কেটে রাখা ধানে অঙ্কুর হচ্ছে বা রং বদল হয়ে নষ্ট হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হয়েছে। আমরাও সঙ্গে থেকেছি। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu) প্রকল্পের আওতায় থাকা সব চাষিদের রবি মরসুমের কিস্তি পাঠানো হয়ে গিয়েছে। তবে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলে কৃষকদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়।’  

Advertisement

জানা গিয়েছে, জমির পরিমাপ অনুযায়ী ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকা বৃহস্পতিবার রাত থেকেই চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে। তবে বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে অন্তত ৩ মাস সময় লাগতে পারে। হুগলি জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দফতর থেকে ১০০ শতাংশ চাষিরই যাতে Kishan Credit Card থাকে সেই চেষ্টা চলছে। জেলার সব চাষিকে বাংলা শস্যবিমা যোজনার(Bangla Sashya Bima Yojna) আওতায় আনতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি ছাড়াও ধারাবাহিক ভাবে পঞ্চায়েত ধরে শিবির করে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। জেলায় এখন প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ চাষির হাতে Kishan Credit Card আছে। এই কার্ডের সুবিধা হল— বিমা না করলেও ঋণের ওপর সুদ বছরে মাত্র ৭ শতাংশ। সময়মতো ঋণ শোধ করলে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ছাড়েরও সংস্থান আছে। তাই জেলার সব কৃষককেই কৃষকবন্ধু, বাংলা শস্য বিমা যোজনা এবং Kishan Credit Card’র আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement