তিস্তার হড়পা বানে কালিম্পংয়ে ২৫০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিস্তার হড়পা বানের(Teesta Flash Flood Incident) জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের পাশাপাশি বাংলাও(Bengal)। বিশেষ করে কালিম্পং(Kalimpong) জেলায়। সেখানে ১৪ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি এখনও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাজ্যের অনান্য জেলার বেশ কিছু বাসিন্দাও এই নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন। এছাড়াও বিপর্যয়ের জেরে কালিম্পংয়ে ঘরছাড়া হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেই ঘটনায় কালিম্পং জেলাতে ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে রাজ্য সরকারের কাছে। তিস্তার ওই হড়পা বানের ঘটনার পরে কালিম্পংয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে ছিল জেলা প্রশাসন এবং Gorkhaland Territorial Administration বা GTA। সেই সমীক্ষারই রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে(Nabanna)। সেখানেই জানানো হয়েছে প্রাথমিক হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা। এছাড়া বাড়িঘর থেকে শুরু করে গাড়ি, দোকান সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট আরও এক দফায় জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর তিস্তার বিপর্যয় নেমে এসেছিল। তাতে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি। সেই রিপোর্ট চূড়ান্ত করার পর কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন GTA’র চেয়ারম্যান অনীত থাপা। নবান্নে জমা পড়া প্রাথমিক রিপোর্টে যে ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে বলা হয়েছে কালিম্পং-১ এবং লাভা ব্লক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি ব্লকের ৩৩৯টি বাড়ি একেবারে ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া ৫১টি বাড়ি আংশিকভাবে ভেঙে গিয়েছে। প্রথমে সরকারের ১০টি ত্রাণ শিবিরে ১,৮৩৪ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে ৪০১ জন এই ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। এর পাশাপাশি এলাকার বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জোর কদমে পুনর্গঠনের কাজ চলছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।