মুম্বইয়ে পাওয়ারের বাড়িতে তৃণমূলের ৩ সাংসদ, SEBI নিয়ে হল বৈঠক
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) ফল প্রকাশের আগে দেশবাসীকে শেয়ার বাজারে(Share Market) বিনিয়োগের বার্তা(Investment Message) দিয়েছিলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। ঠিক তার পরে পরেই দেখা যায়, মাত্র ১ দিনে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীর। সেই ঘটনায় মোদি আর শাহের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI বা Securities and Exchange Board of India’র দ্বারস্থ হতে চলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এদিনই তৃণমূলের প্রতিনিধিরা মুম্বইয়ে SEBI’র অফিসে গিয়ে দেখা করবেন SEBI’র ডিরেক্টর জি রামমোহন রাওয়ের সঙ্গে। সেই সাক্ষাতের আগে তৃণমূলের ৩ সাংসদ চলে গেলেন শরদ পাওয়ারের(Sharad Pawar) বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে করলেন বৈঠকও।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে শরদের বাড়িতে যান তৃণমূলের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখেল, তৃণমূলের রাজ্যসভার অপর সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদের বাড়িতে এদিন দীর্ঘ বৈঠক হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, বিদ্যা চৌহান এবং শিব সেনা(উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত। তৃণমূলের তরফে এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হলেও, সূত্রের খবর, সেবির অফিসে যাওয়ার আগে আন্দোলনের রণকৌশল ঠিক করা হয় এই বৈঠক থেকে। লক্ষ্যণীয় ভাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সেবির কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা্কে। আর সেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শরদ পওয়ারের দলের তরফে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমন্ত্রিতের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে কংগ্রেস। তাই এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের কেউ ছিল না।
জানা যাচ্ছে, এদিন সেবির ডিরেক্টর জি রাম মোহন রাওয়ের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তৃণমূলের তরফে আগাম চিঠি দেওয়া হলেও তাঁদের সময় দিতে রাজি হননি সেবির ডিরেক্টর। এই অবস্থায় সেবি অফিসে গেলেও ডিরেক্টরের দেখা যে পাবেন না তা বেশ বুঝতে পারছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। সেই পরিস্থিতিতে সেবি অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও আন্দোলনের রণকৌশল ঠিক করা হয় এদিনের বৈঠকে। ঘটনা হচ্ছে, শেয়ার বাজারের বিষয়টি নিয়ে প্রথম সরব হতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসকে। এমনকি রাহুল গান্ধি দাবি করেছিলেন, ‘এটা ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার দুর্নীতি।’ রাহুলের সেই অভিযোগ পরে এই ইস্যু ইন্ডিয়া জোটের এজেন্ডা হয়ে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আপাতত কংগ্রেসের তোলা সেই ইস্যু ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে তৃণমূল। দিল্লিতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে এরাজ্যের শাসকদল। সেই সঙ্গে বাড়ছে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুরোটাই হচ্ছে কংগ্রেসকে আড়ালে রেখে।