For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মোদির বঞ্চনার শিকার বাংলার ৩৩ লক্ষাধিক পরিবার

কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার বরাদ্দ না দেওয়ায় রাজ্যের ৩৩ লক্ষ ৪২ হাজার দরিদ্র পরিবার নিজের বাড়ি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
09:39 AM Feb 13, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মোদির বঞ্চনার শিকার বাংলার ৩৩ লক্ষাধিক পরিবার
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: গরিব মানুষের পেটে লাথি মারা কাকে বলে তা করে দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। গরিব মানুষের প্রাপ্য কীভাবে আটকে রাখতে হয় তা করে দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। কেননা তার সরকার যেমন একদিকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে তেমনি গরিব মানুষের মাথার ছাদের যোগান দেওয়া আবাস যোজনার টাকাও আটকে রেখেছে। রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার(Pradip Majumdar) জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার(PMGAY) বরাদ্দ না দেওয়ায় রাজ্যের ৩৩ লক্ষ ৪২ হাজার দরিদ্র পরিবার নিজের বাড়ি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও এইসব গরিব পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস আগেই দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকার সামনের মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তার পরেই রাজ্য সরকার কেন্দ্রের আবাস যোজনায় বঞ্চিত বাংলার পরিবারগুলিকে ‘বাংলা বাড়ি’ প্রকল্পের অধীনে বাড়ি নির্মাণের জন্য দফায় দফায় টাকা পাঠাতে শুরু করে দেবে। মোদি ক্ষত তৈরি করছেন, আর সেই ক্ষতে প্রলেপ দিচ্ছেন মমতা। এটাই চূড়ান্ত বাস্তব।

Advertisement

রাজ্য বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘আবাস যোজনায় ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রাজ্যের ১১ লক্ষ ১ হাজার ৭৩১টি পরিবারের জন্য অর্থ বরাদ্দে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ১৪ মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও টাকা পাঠায়নি। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানালেও কিছুই করেনি তারা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে রাজ্য সরকার আবাস প্রকল্পে আরও সুবিধা প্রাপকদের তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকায় সব মিলিয়ে ৩৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৪২টি পরিবার আছে। কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনায় টাকা না দেওয়ায় সবাই নিজের বাড়ি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ শুধু তাই নয়, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্য খাতেও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, ‘২০২২-২৩ আর্থিক বছরে National Health Mission খাতে রাজ্যের প্রাপ্য ২ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দেয়নি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ন্যয্য প্রাপ্য ৮০০ কোটি টাকা পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্দনা প্রকল্পে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি যুক্ত খাদ্যের জন্য তিন দফায় ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে টাকা দেওয়া ছাড়াও দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হলে এই প্রকল্পে সম পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।’

Advertisement

তবে কেন্দ্রের বঞ্চনার যাবতীয় শূন্যস্থান পূরণে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ঠিক যেমন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) বাংলার যে ২১ লক্ষ Job Card Holders এখনও তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পাননি তাঁদের হাতে সেই হকের টাকা পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বাজেটে তার জন্য ৩৭০০ কোটি টাকা যেমন বরাদ্দ হয়েছে তেমনি আগামী দিনে এই Job Card Holders-রা যাতে কাজ থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য কেন্দ্রকে মুখের মতো জবাব দিতে সম মজুরের হারে রাজ্যের নিজস্ব ৫০ দিনের প্রকল্প ‘কর্মশ্রী’ চালু করে তাতে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার নয়।

Advertisement
Tags :
Advertisement