শ্মশানে মৃতদেহের বালিশের ভেতর থেকে উদ্ধার ৫০০ টাকার বান্ডিল
নিজস্ব প্রতিনিধি,বসিরহাট: মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পোড়ানোর সময় নজরে পড়ে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। আর সেই আধপোড়া নোট নিয়ে হাবরা এসে পৌছালো ভাইপো পঞ্চানন। রাজ্য রাজনীতিতে টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে । একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এই ঘটনা সম্পুর্ন ভিন্ন। কাকা নিমাই সর্দার, বাড়ি বসিরহাট(Bashirhat) সিমান্ত ঘোজাডাঙা বর্ডার এলাকায়। কাকার তিন মেয়ে ।কোন পুত্র সন্তান নেই। তাই তার মুখাগ্নি করার মত কেউ নেই। ভাইপোই সব কাজ করছেন।
ভাইপো পঞ্চানন সর্দার জানান কাকার মৃত্যুর পর তার সৎকার করতে স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। গত রবিবার মৃত্যু হয় নিমাই সর্দারের(Nemai Sardar)। কাকাকে চিতায় তুলে আগুন দিতেই মনে পরে, কাকার বালিশ, বিছানা আগুনে দিয়ে দেওয়ার কথা। সেইমত বালিশ আগুনে দিতে দেখা যায় একাধিক ৫০০ টাকার নোট দেখা যাচ্ছে। সাথে সাথে সেই বালিশ সহ নোট উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় বালিশের মধ্যে নিমাই সর্দারের একটি ব্যাগ ছিলো সেই ব্যাগে ছিলো ১৬ হাজার টাকা। সেই টাকা কাকার জমানো টাকা। পেশায় ভ্যান চালাতো নিমাই। ভ্যান চালিয়েই ১৬ হাজার টাকা জমিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই কথা কেউ জানতো না।কাকা চলে যাওয়ার পর এই গোপন টাকার হদিস পাওয়া গেলো। সেই আধপোড়া টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ঘুরলেও টাকা পরিবর্তন করা যায়নি। তারপর খোঁজ মেলে, পঞ্চাননের দিদির বাড়ির সামনে একজন থাকে যে এই টাকা পরিবর্তনের ব্যবসা করেন। সেইমত পঞ্চানন চলে আসে হাবরায়।
তারপর জামাইবাবুকে নিয়ে হন্নে হয়ে খোঁজ করে টাকা পরিবর্তন করা ব্যক্তি খোকন ঘোষে এর।অবশেষে হাবরা(Habra) হাটথুবা এলাকায় খোঁজ মেলে খোকনের।খোকন সেই ১৬ হাজার টাকা পরিবর্তন করে ৭ হাজার ১৫০ টাকা দেন।কারণ এই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ভ্যালু ৭ হাজার ৫০০ টাকা।অর্থাৎ ৩৫০ টাকা লাভ খোকনের।সেই টাকা নিয়েও খুশি ভাইপো পঞ্চানন। কাকার জমানো টাকা এখন কাকার কাজেই লাগবে বলে জানান পঞ্চানন।