For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

শালুকখালিতেই গড়ে উঠবে হলদিয়ার পরিপূরক বন্দর, লগ্নী ২৫৩ কোটি

২৫৩ কোটি টাকা খরচ করে হলদিয়ার কাছেই হলদি নদীর ভেতরে শালুকখালিতে গড়ে তোলা হবে হলদিয়ার সহায়ক বন্দর। কাজ শুরু হবে শীঘ্রই।
04:46 PM Dec 09, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
শালুকখালিতেই গড়ে উঠবে হলদিয়ার পরিপূরক বন্দর  লগ্নী ২৫৩ কোটি
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: গঙ্গার(The Ganges) নাব্যতা কমে যাওয়ায় কলকাতা বন্দরে(Kolkata Port) বড় জাহাজ আসতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বাম জমানায় পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার হলদিয়ায় হলদি ও গঙ্গা নদীর সঙ্গমে গড়ে তোলা হয় হলদিয়া বন্দর(Haldia Port)। পরে সেই বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলও। কিন্তু সেই বন্দরই এখন সমস্যার মুখ। সেখানেও এখন আর বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। হলদিয়ার নাব্যতা ও গভীরতা কমে আসার কারণে একাধিক বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এখন সমস্যার সমাধানে মাঝ সমুদ্রে ট্রান্স লোডিং বা ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে বড় বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে ছোট ছোট ভেসেলে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ চাইছে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান। সেই লক্ষ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শালুকখালিতেই(Shalukkhali) নতুন একটি বন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫৩ কোটি টাকা খরচ করে সেই বন্দর গড়ে তোলা হবে।

Advertisement

হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শালুকখালিতে হলদিয়ার পরিপূরক বন্দরের কাজ শুরু হতে চলেছে। এই বন্দরের নাব্যতা হবে ৯ মিটারের বেশি। বেশি নাব্যতার কারণে বড় জাহাজে সহজে আসতে পারবে শালুকখালিতে। পণ্য পরিবহণে হলদিয়া চলতি আর্থিক বছরে ৫০ মিলিয়ন কার্গো আমদানি-রফতানিতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বন্দরগুলির মধ্যে এর ধারে কাছে রয়েছে একমাত্র চেন্নাই বন্দর। শালুকখালি বন্দরের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭২ কোটি টাকা। কিন্তু কোভিডের সময় কাজ থমকে যায়। পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্প ব্যয় এসে দাঁড়ায় ২৫৩ কোটি টাকা। বন্দর নির্মাণের কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র মিলেছে। দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ে বন্যার প্রকোপ মিটলেই কাজ শুরু হবে। কারণ, চেন্নাই থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল আসার কথা আছে এলাকা পরিদর্শন করতে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শালুকখালিতে ৯ মিটারের গভীরতা পেতে গেলে হলদি নদীর কিনারা ধরে আরও প্রায় ১.১ কিমি যেতে হবে। সেখানে একটি ভাসমান জেটি নির্মাণ করা হবে। এই জেটি ৩০০ মিটার লম্বা হবে। শালুকখালিতে নাব্যতা বেশি থাকায় ২৪০ মিটারের চেয়ে বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে ওই ভাসমান জেটিতে।  এই বন্দরটি নতুন রাঙাফলা চ্যানেল দিয়ে সংযুক্ত হবে। সাগরের বেশ কয়েকটি ‘ডিপ ওয়াটার পকেট’-এ ট্রান্স লোডার রাখা হচ্ছে। এর ফলে সারা বছর পণ্য আনা যাবে। এমনিতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাগরে বড় বড় ঢেউ ওঠে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করা যায় না। অপেক্ষাকৃত শান্ত সময়ে ট্রান্সলোডিং হয়। সারা বছর পণ্য খালাস করার লক্ষ্যে ডিপ ওয়াটার পকেটে বসানো হবে ট্রান্স লোডার।

Advertisement
Tags :
Advertisement