কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কলকাতার বাসিন্দার
নিজস্ব প্রতিনিধি : কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল কলকাতার বাসিন্দা শঙ্কর মোহন দাসের। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল ভ্যানে কর্মরত ছিলেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় শঙ্কর মোহন দাসকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারি মতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি মতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। যে ৮ জনের মৃত্যুর খবর সরকারি মতে জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা শঙ্কর মোহন দাস (৬২)। শঙ্করবাবু ছিলেন বেলেঘাটার বাসিন্দা। তিনি রেলওয়ে মেইল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সোমবার সকালে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তখন সেই ট্রেনে পার্সেল ভ্যানে ছিলেন শঙ্করবাবু। জানা গিয়েছে, মালগাড়ি এসে যখন পিছন থেকে ধাক্কা মারে, তখন গুরুতর আহত তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় শঙ্করবাবুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শিয়ালদহ স্টেশনে চলে আসেন শঙ্করবাবুর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, সরকারি মতে যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন রেলে কর্মরত তিন জন। এদের মধ্যে শঙ্করবাবুরও নাম রয়েছে। এরপরই বাবার নিথর দেহ নিয়ে আসতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শঙ্করবাবুর পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওই রেলকর্মীর সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রেলের তরফে মৃত পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা ও কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।