গণপিটুনি কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়, পুলিশ কর্তাদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে গত কয়েকদিনে সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে গণপিটুনির ঘটনা। আর ওই ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। গণপিটুনির ঘটনা রুখতে মঙ্গলবার নবান্নে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে বেলাগাম গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গণপিটুনির ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘কোনও ভাবেই যেন গণপিটুনির ঘটনা বরদাস্ত না করা হয়। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রাজনৈতিক রং না দেখে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের উদ্দেশে চার দফার এক নির্দেশিকাও জারি করেছে নবান্ন।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই গাইঘাটা, চোপড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেলাগামভাবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে চলেছে। আর বিষয়টিকে ইস্যু করে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, চোপড়ার গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে এদিন স্থানীয় বিধায়ক তথা বাহুবলী নেতা হামিদুল রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দলীয় বিধায়ককে নির্দেশ দেন তিনি। পরে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে গণপিটুনি নিয়ে পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘কোনও ভাবেই এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না।’ কেন অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে পুলিশকে চোখ খুলে রাখার পাশাপাশি টহলদারি ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। বৈঠকের পরেই জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন অডিও ভিসুয়াল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। ভুয়ো খবর এবং গুজবের উপর নজর রাখতে হবে। যে সব সোশ্যাল সাইট থেকে এই ধরনের ভুয়ো খবর ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।