বৌদির সঙ্গে প্রেম, জানতে পেরে দাদা হাত কেটে দিল ভাইয়ের
নিজস্ব প্রতিনিধি: সমাজে বাড়ছে পরকিয়া(Extramarital Affairs)। বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, সকলেরই ঝোঁক এখন পরকিয়ায়। সেই পরকিয়ায় জড়িয়ে এক যুবক হারিয়ে ফেললেন নিজের হাত। কেননা তাঁর হাত কেটে(Cut the Hand) দিয়েছে তাঁরই তুতো দাদা। আর সেই হাত কেটে দেওয়া হয়েছে, বৌদির সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে এই বাংলার বুকেই। উত্তরবঙ্গের(North Bengal) উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ সদর মহকুমার কালিয়াগঞ্জে(Kaliyaganj)। মজার কথা, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই পরিবারের তরফে কারোর বিরুদ্ধেই থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশের কানে খবর গিয়েছে। তাঁরা এখন এই ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জ থানার বাসিন্দা বিপ্লব রায়কে আক্রমণ করেন তুতো দাদা সঞ্জয় এবং জেঠু ভাদ্রু রায়। অভিযোগ, অস্ত্র দিয়ে যুবকের বাঁ হাতের কব্জি কেটে নেন তুতো দাদা। বিপ্লবের চিৎকারে আশপাশ থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বছর ছাব্বিশের যুকককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পুলিশ সেখানে গিয়েই এদিন বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে দুই পরিবারের বাড়িতে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে প্রতিবেশীদের।
ঘটনার পরে অবশ্য বিপ্লবের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন সঞ্জয়ের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বিপ্লবের সঙ্গে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়। সেখান থেকে শনিবার রাতের ওই ঘটনা। এদিন রায়গঞ্জের হাসপাতালে শয্যায় শুয়ে বিপ্লবের দাবি, ‘জেঠু আর দাদা আমায় মেরেছে। আমি বাইরে বেরিয়েছিলাম। দাদা আমার হাত ধরে রেখেছিল। হাঁসুয়া দিয়ে আমার হাত কেতে দিল ওর বাবা। আমি চিৎকার করছিলাম...।’ একই সঙ্গে বিপ্লবের দাবি, বৌদির সঙ্গে তিনি ‘কথাবার্তা’ বলতেন বলে রাগ ছিল দাদার। সেখান থেকে তাঁকে এই আক্রমণ। তিনি দু’জনের শাস্তি দাবি করেছেন।