মুম্বইয়ের পালি হিলে ৯ কোটির ফ্ল্যাট কিনলেন আমির খান
নিজস্ব প্রতিনিধি: সেলিব্রিটিদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই। প্রতিনিয়তই তাঁরা সম্পত্তি বাড়াচ্ছেন, আবার বিক্রি করছেন। এমন লেনদেন চলছেই। তবে সম্পত্তি কেনা-বেচায় ওস্তাদ অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন। দিন কয়েক আগেই মুম্বইতে ১৫ কোটি দিয়ে ৬ টি অফিস কিনেছেন জুনিয়র বচ্চন। তার দিন কয়েক পরেই খবরে এসেছে যে, অমিতাভ বচ্চনও ১৪ কোটির আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়াও অভিনেতা বছরে একাধিক সম্পত্তি কেনেন। কারণ চলতি বছরের প্রথমদিকে অযোধ্যায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। যেটা রামমন্দিরের থেকে ১৫ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত।
যাই হোক, এবার সামনে এলো মুম্বাইয়ের পালি হিলে একটি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন বলিউডের আরেক সুপারস্টার আমির খান। SquareYards.com-এর সূত্রে পাওয়া নথি অনুসারে, অভিনেতা ৯ কোটি টাকারও বেশি দামে বিলাসবহুল সম্পত্তি কিনেছিলেন।আরও একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আমির খান সম্পত্তিটি ৯.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছেন। প্রায় ১,০২৭ বর্গফুট আকারের ফ্ল্যাটটি কিনেছেন। গত ২৫ জুন বিক্রয় চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। উচ্চ আবাসিক ভবনটি পালি হিলের বেলা ভিস্তা অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থিত। তবে মুম্বইয়ের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আবাসিক এলাকায় আমিরের নতুন সম্পত্তি ছাড়াও একই অ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি মেরিনা অ্যাপার্টমেন্টে বেশ কয়েকটি সম্পত্তির মালিক আমির খান।
মজার বিষয় হল, বেলা ভিস্তা এবং মেরিনা উভয়ই পুনঃউন্নয়নের জন্য নির্ধারিত। বান্দ্রায় আমিরের বর্তমান বিশাল, সমুদ্রমুখী বাড়িটি দুই তলা জুড়ে ৫,০০০ বর্গফুট বিস্তৃত। এটিতে ন্যূনতম অভ্যন্তরীণ এবং একটি বড় খোলা জায়গা রয়েছে। এছাড়াও, ২০১৩ সালে, অভিনেতা পাঁচগনিতে ৭ কোটি টাকার একটি খামারবাড়িও কিনেছিলেন। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের শাহাবাদে আমিরের ২২ টি বাড়ি রয়েছে। এদিকে কাজের দিক থেকে, আমির খানকে শেষ দেখা গিয়েছিল 'লাল সিং চাড্ডা' ছবিতে। ছবিটি বক্স অফিসে ধুঁকছে। তবে তার শেষ প্রযোজনা 'লাপাতা লেডিস' দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাকে পরবর্তীতে 'সিতারে জমিন পার'-এ দেখা যাবে, যেটি ২০২৪ সালের ক্রিসমাসের কাছাকাছি একটি থিয়েটারে মুক্তির জন্য নির্ধারিত। এদিকে অভিনেতার ছেলে জুনায়েদ খান সবেমাত্র ডেবিউ করেছেন বলিউডে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে 'মহারাজ'। তবে ছবিটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। কিন্তু ছবির মুক্তির আগে হিন্দু ধর্মের অবমাননার অভিযোগে ছবিটি মুক্তির স্থগিতাদেশ দিয়েছিল গুজরাত হাইকোর্ট। অবশেষে গত ২১ জুন ছবির মধ্যে কোনো আপত্তিকর কিছু পায়নি বলে ছবিটি মুক্তির আদেশ দেয়।