শনিতেই দেব-অভিষেক বৈঠক, থাকছে ফের টিকিট প্রাপ্তির যোগও
নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বিদায়ের সুর শুনিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বিদায় নিতে চাইলেই তো আর রাজ্যের শাসক দল তাঁকে বিদায় নিতে দেবে না। তাই যে সমস্যা বা অভিমানের জায়গা থেকে তিনি সরে যেতে চাইছেন সেই জায়গা থেকেই তাঁকে ধরে রাখার কাজ শুরু করতে চলেছে শাসক দল। নজরে ঘাটালের(Ghatal Constituency) তৃণমূল সাংসদ(TMC MP) তথা টলি স্টার(Tollywood Star) দেব(Deb)। খাতায় কলমে অবশ্য তিনি দীপক অধিকারী। সেই দেবের সঙ্গে শনি সন্ধ্যায় পৃথক বৈঠকে বসতে চলেছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। লক্ষ্য একটাই দেবের মান-অভিমান ভেঙে তাঁকে ২৪’র ভোট যুদ্ধে নামানো। খবর তৃণমূল সূত্রেই। এমনকি এমন খবরও মিলেছে প্রয়োজনে ঘাটালের পরিবর্তে রাজ্যের অন্য কোথাও থেকে তাঁকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে হুগলি অথবা মেদিনীপুরের কথাও ভেবে রাখা হচ্ছে।
কেন দেবকে ধরে রাখতে চাইছে তৃণমূল? সূত্রের খবর, অস্বীকার করার উপায় নেই এখন টলিউডের সব থেকে দামী ও জনপ্রিয় স্টার দেব। বাংলার তরুণ সমাজে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। আট থেকে আশি সকলেই তাঁর দিওয়ানা। একই সঙ্গে দেবকে ঘিরে কোনও বড় বিতর্কও নেই। তাঁর এই ভাবমূর্তিই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। গত ১০ বছর ধরে দেব পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের সাংসদ। দুই দফাতেই তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কোনও দূরত্ব বা মনকষাকষির জায়গা না থাকলেও সাম্প্রতিককালে তাঁর সঙ্গে ঘাটালের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে যে দূরত্ব ও বিরোধ বেঁধেছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই জায়গা থেকেই দেব সংসদে কার্যত সাংসদ হিসাবে তাঁর বিদায় বার্তা দিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু সেই বার্তার পরে পরেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সূত্রেই শোনা যাচ্ছে আগামী শনিবার সন্ধ্যায়ে কলকাতাতেই দেবের সঙ্গে একদম আলাদা ভাবে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন অভিষেক। সেখানেই তাঁকে ধরে রাখতে তৃণমূলের তরফে নয়া প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে তাঁকে। অন্তত সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেবের যদি একান্তই ঘাটাল থেকে প্রার্থী হতে অসুবিধা থাকে তাহলে বিকল্প আসন হিসাবে হুগলি অথবা মেদিনীপুরের প্রস্তাব তাঁকে দেওয়া হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে দেবের ব্যস্ততা বেড়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা ছেড়ে গ্রামবাংলায় তাঁর যাতায়াতও কমেছে। সেই সূত্রেই তাঁকে মেদিনীপুর বা হুগলি থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। মেদিনীপুর কলকাতা থেকে দূরে হলেও হুগলি বেশ কাছেই।