অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ Acropolis Mall, মাথায় হাত কর্মীদের
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগুনকাণ্ডে দক্ষিণ কলকাতার(Kolkata) কসবা থানা(Kasba PS) এলাকার রাজডাঙায় থাকা Acropolis Mall এবার নতুন বিপদের সন্মুখীন হল। পুলিশ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যতদিন না আগুনকাণ্ডের তদন্ত শেষ হচ্ছে ততদিন বন্ধ থাকবে এই মল। আর তার জেরেই মাথায় হাত পড়েছে এই মলের নিজস্ব কর্মী থেকে সেখানে থাকা নানা বেসরকারি সংস্থার Showroom ও Brandstore-গুলিতে কাজ করা শতাধিক কর্মীর। গত শুক্রবার কসবার Acropolis Mall-এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সেই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে আগুন লাগার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কীভাবে আগুন লেগেছিল তা এখন জানা যায়নি। এই অবস্থায় আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে শনিবার মল পরিদর্শন করলেন দমকলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। তার মধ্যেই এবার দমকলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মল বন্ধ থাকবে।
শনিবার Acropolis Mall পরিদর্শন করেন দমকলের ডিজি জগমোহন এবং দমকলের অধিকর্তা অভিষেক পাণ্ডে। তাঁরা মলের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ফায়ার অডিট রিপোর্ট দেখতে চান। আগুন লাগার পরেই মলের এমার্জেন্সি এক্সিটে আবর্জনা স্তূপ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়টিও সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। মলের যে অংশে আগুন লেগেছে তার ঠিক নিচের ফ্লোরে মেরামতির কাজ চলছিল বলে দমকলের কর্তাদের জানিয়েছে মল কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে কী মেরামতি করা হচ্ছিল? কারা মেরামতি করছিলেন? কোন যন্ত্র মেরামতির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে? সেই তালিকাও চেয়েছেন কর্তারা। পাশাপাশি মলে নিয়মিত মক ড্রিল হয় কিনা বা শেষ কবে হয়েছে? সেই তথ্যও মল কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছেন। একইসঙ্গে মল কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার আগের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন আধিকারিকেরা।
ঘটনার পরেই শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে Acropolis Mall। মেরামতির কাজও এখনও শুরু হয়নি সেখানে। মল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দমকলের অনুমতি মিললে তবেই মেরামতির কাজ শুরু হবে। অগ্নিকাণ্ডের পরেই মলে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। শুধু মল কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে ভিতরে যেতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছে দমকল। এ বিষয়ে মল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবরকমভাবে দমকলকে সাহায্য করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষও জানাচ্ছে, যতক্ষণ পুরোপুরি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে ততক্ষণ মল খোলা সম্ভব হচ্ছে না। মলের তৃতীয় তলে বুক স্টোরে আগুন লেগেছিল বলে মল কর্তৃপক্ষের তরফে একজন জানান। তাঁর বক্তব্য, ঘটনাস্থলে প্রচুর বই পত্র থাকার কারণে ধোঁয়া বেশি হয়েছে। আগুনের শিখা কম ছিল।