সোনার দোকানে পরপর ডাকাতির ঘটনায় মোট ১৪ জন গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার ১০ টি
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় আন্ত: রাজ্য ডাকাত দলের মোট ১৪ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ১০ টি।মূলতঃ বিহার ও ঝাড়খণ্ডের ডাকাত দলই এই অপারেশন গুলো করছিল।দুটি ঘটনায় ডাকাতি হয়ে যাওয়ার পর তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছে ।আর দুটি ঘটনায় আগে থেকে পুলিশের কাছে ইনপুট থাকায় ডাকাতির আগেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।গত দুই বছরে বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার নবান্নে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা ) মনোজ ভার্মা(Manoj Verma)। এদিকে,রাজ্য পুলিশ যখন দুর্গাপুর বাঁকুড়া ও রাজ্যের অন্য প্রান্ত থেকে একের পর এক ডাকাতদের পাকড়াও করছে সেই সময় ফের বজবজে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল। শুক্রবার দুপুরে তিনজন দুষ্কৃতী মোটরসাইকেলে চেপে বজ বজ এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতি করে। সূর্য জুয়েলার্স নামে এক সোনার দোকানে খদ্দের সেজে অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তি দুটি মোটরসাইকেলে চেপে ওই দোকানে হানা দেয়। দোকানে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি সোনার গহনা(Gold Ornaments) লুট করে তারা পালায়। মাত্র ৬ মিনিটের অপারেশনে তারা এই লুটপাট চালায়। দোকানের মালিক অরুন জানা জানান শুক্রবার দুপুরে দুটো নাগাদ ওই দুষ্কৃতীরা মোটরসাইকেলে চেপে তার দোকানে হানা দেয়। গহনা কেনার অছিলায় আগ্নেয়াস্ত্র বের করে এই লুটপাট চালায়।
বজ বজ থানা (Budge Budge P.S.)এলাকায় মিঠাপুকুরে রাস্তার ধারের ওই দোকানটিতে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর আগেও ওই এলাকায় অপর একটি গহনার দোকানে রাতের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরপর এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকার দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এদিকে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মনোজ ভার্মা জানান, আসানসোল দুর্গাপুর বাঁকুড়া এইসব এলাকায় পরপর ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্য পুলিশ একাধিক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে।
তার মধ্যে এমন বহু ডাকাত হয়েছে যাতে তারা একাধিক পুরনো মামলায় জড়িত রয়েছেন। শুধু তাই নয় এই রাজ্যের পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহযোগিতা নিও একাধিক কুখ্যাত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য পুলিশ। মনোজ ভার্মা দাবী করেন, এর ফলে পরপর ঘটে যাওয়া অপরাধের ঘটনায় লাগাম টানা সম্ভব হবে বলে মনে করছে রাজ্য পুলিশ।