For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

চাকরির পরীক্ষার ৭ বছর বাদে এল পরীক্ষার Admit Card

চাকরির পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৬ সালে। পরীক্ষায় বসার জন্য Admit Card এল ২০২৩ সালে। কার ভুলে ঘটল এমন ঘটনা? তদন্ত চান আশিস।
01:10 PM Nov 02, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
চাকরির পরীক্ষার ৭ বছর বাদে এল পরীক্ষার admit card
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: এমনটাও হয়! চাকরির পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ২০১৬ সালে। আর সেই চাকরির পরীক্ষায় বসার জন্য Admit Card এল ২০২৩ সালে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার বর্ধমান শহরের নারকেলবাগান এলাকার বাসিন্দা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অর্থাৎ ১ নভেম্বর ডাকযোগে তিনি ২০১৬ সালের রাজ্যের কৃষি দফতরের(Agriculture Department) কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক(Krishi Projukti Sahayak) পদে নিয়োগ সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষার Admit Card হাতে পেয়েছেন। কেন ৭ বছর লাগল এই Admit Card আসতে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছেন আশিস। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা। প্রকৃত যোগ্যরা যাতে চাকরির পরীক্ষায় বসতেই না পারেন তার জন্য এইসব Admit Card আটকে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে কৃষি দফতরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে তাতে আবেদন জানান আশিস। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ কর্মক্ষেত্র পত্রিকায় সেই বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন আশিস। বিজ্ঞপ্তিটি ছিল রাজ্য কৃষি দফতরের কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জনকে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার। সেই পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্যতামান নির্ধারিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল ৫৪০০-২৫২০০ টাকা। সেই মতো আশিস আবেদনও করেন। কিন্তু আবেদন করার পর থেকে প্রায় ৭ বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার কোনও Admit Card বা আনুসাঙ্গিক কিছু আসেনি। কিন্তু হঠাৎই গতকাল দুপুর ডাকযোগে কৃষি দফতরের সেই পরীক্ষার একটি Admit Card পান আশিস। সেই Admit Card খুলেই হতবাক আশিস। কারণ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭ বছর আগে, ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর।

Advertisement

এখন আশিস চাইছেন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে তাঁকে এই খেসারত দিতে হল, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছে আশিস। ঘটনাটি সামনে আসতেই বেঁধেছে বিতর্ক। কৃষি দফতর নাকি ডাকবিভাগ কার ভুলে এই ঘটনা ঘটল সেটাই এখন বিতর্ক হয়ে দানা বাঁধছে। অনেকেরই দাবি, এই ঘটনা নিয়ে CBI তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে সামনে আসবে কীভাবে যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের শিক্ষক-শিক্ষিকা পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে তেমনি হয়তো দেখা যাবে কৃষি দফতরের মধ্যেই একই ধরনের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement