For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

কার্শিয়াংয়ে বরফ আড়াই দশক বাদে, পুরুলিয়ায় পারা থমকালো ৯ডিগ্রিতে

পুরুলিয়ায় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ায় ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব থেকে বড় কথা আড়াই দশক বাদে পাহাড়ের কার্শিয়াংয়ের মতো এলাকায় পড়ছে বরফ।
10:25 AM Dec 16, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
কার্শিয়াংয়ে বরফ আড়াই দশক বাদে  পুরুলিয়ায় পারা থমকালো ৯ডিগ্রিতে
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠান্ডার ঘেরাটোপে বাংলা। টানা ৯ দিন ধরে নিম্নমুখী গোটা বাংলার পারা। হাওয়া অফিস বলছে আপাতত রাজ্যে উত্তরে হাওয়া প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও বাধা নেই। সে কারণেই আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত দিন ও রাতের তাপমাত্রা এই সময়ের স্বাভাবিক বা তার থেকে সামান্য কমই থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী পারা পতনের নিরিখে উত্তরের জেলাগুলিকে জোর টক্কর দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর ডিসেম্বরের এই সময়ে কলকাতার(Kolkata) গড় স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। কিন্তু, এবার ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করেছে শীত। হু হু করে নামছে পারা। শনি সকালে কলকাতায় পারা নেমেছে ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুরুলিয়ায়(Purulia) ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ায়(Bankura) ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব থেকে বড় কথা আড়াই দশক বাদে পাহাড়ের কার্শিয়াংয়ের(Kurseong) মতো এলাকায় পড়ছে বরফ(Snowfalls)।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন শীতের দাপট বজায় থাকবে। পারাপতন অব্যাহত থাকবে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে। দিনের তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও বড়সড় পারাপতন দেখা যাবে রাতে। জাঁকিয়ে শীত হানা দেবে উত্তরেও। তবে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। গতকাল বিকাল ৫টায় কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে সেই দুই শহরেই পারা নেমে গিয়েছে ৩ ও ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে সব থেকে বড় ঘটনা হল আড়াই দশক বাদে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কার্শিয়াংয়ে তুষারপাত। প্রায় আড়াই দশক পর এমন ঘটনায় সেখানে এখন উন্মাদনা চরমে উঠেছে। তবে কার্শিয়াং শহরে সেই তুষারপাত হয়নি, হয়েছে ডাউহিলের কাছে চিমনিতে। বরফের চাদরে ঢেকেছে এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে তা শেষ ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল।     

Advertisement

প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল পাহাড়ে তুষারপাতের ব্যাপারে। সেই কারণেই পাহাড়ে যেতে অনেকেই প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন। কার্শিয়াংয়ের তুষারপাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই কেউ ছুটলেন বাইক নিয়ে, কারও আবার গাড়ি ভাড়া নিয়ে। গন্তব্য ছিল বরফে ঢাকা চিমনি। এদিন অর্থাৎ শনিবার এবং আগামিকাল অর্থাৎ রবিবারও দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিংয়ে তুষারপাতের খবরে বহু পর্যটক বেড়াতে গিয়েছেন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের টুংলিং, সীমানা, সান্দাকফুতে তুষারপাতের জেরে বহু পর্যটক থেকে গিয়েছেন। ভ্রমণের নির্দিষ্ট সময়সূচি পার হয়ে গেলেও শুধু তুষারপাত দেখতেই আরও এক-দু’দিন পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পর্যটকরা।

পূর্বাভাস ছিল বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায় তুষারপাত হবে। কিন্তু, কার্শিয়াংয়ে তুষারপাতের তেমন পূর্বাভাস ছিল না। তবে কার্শিয়াংয়ের চিমনি এলাকায় তুষারপাত হওয়ায় পর্যটকরা খুশি। তাঁরা এই তুষারপাতের ভরপুর মজা নিয়েছেন। তবে তুষারপাতের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ঘন কুয়াশার মোড়কে ঢাকা পড়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা এদিন সকালে নেমে গিয়েছে। আকাশ পরিষ্কার হওয়ার ফলে কুয়াশাও আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement