আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে রাজপথে নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেল
নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেল এর রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে কলকাতার রাজপথে উদ্বাস্তু ও নমঃশূদ্রদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার আধার নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে নমঃশূদ্রদের আধার কার্ড বাতিলে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee)।দেশজুড়ে ৩২ কোটি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে এ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, হুগলি ও মালদহ সহ একাধিক জেলার প্রায় দু'লক্ষ কার্ড রয়েছে। তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ব্যাঙ্কে লেনদেন করা যাচ্ছে না, মিলছে না সরকারী প্রকল্পের সুবিধা। অন্যদিকে রেশন মিলছে না। আশঙ্কা, এর পর ভোটার কার্ডও নিষ্ক্রিয় করা দেওয়া হবে। এর প্রতিবাদে কলকাতা ধর্মতলার ট্রাম ডিপো(Esplande Tram Depo) থেকে হাজার হাজার নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সম্প্রদায় সাধারণ মানুষ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং সেখানে প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে ধর্নায় বসে থাকেন রঞ্জিত সরকার সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। এদিকে, বাজারের পানীয় জলের সাব মার্সেল খারাপ। তা সারানো নিয়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। ক্ষোভ স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ ও ব্যবসায়ী সমিতির।
জনবহুল বাজারের মধ্যে পানীয় জলের জন্য বসানো হয়েছিল সাব মার্সেল ।খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। অভিযোগ সেখানে বসানো হয়েছিল একটি ছোট টুলু পাম্প। যার ফলে লোড নিতে না পেরে খারাপ হয়ে পড়ে থাকে সাবমার্সেলটি। সাবমার্সেল সারানো নিয়ে শাসক দলের নেতাদের কাজকর্মে ক্ষোভ দলেরই একাংশের। অনুন্নয়ন নিয়ে বিরোধীদের মুখের কথা এখন শোনা যাচ্ছে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের মুখে। সাড়ে আট লক্ষ টাকার মত খরচ করে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ইয়ারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবল্লভপুর বাজারে(Rajbhallavpur Market) পানীয় জলের জন্য বসানো হয়েছিল একটি সাবমার্সেল।
শাসক দলের একাংশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা অঞ্চল যুবতৃণমূলের সভাপতি রাজু মন্ডল জানিয়েছেন ,দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক পর্যন্ত প্রত্যেকের কাছে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। এত বড় বাজার ছাড়া আট দশটি পাড়ার মানুষরা এসে এখান থেকে ড্রাম ভর্তি করে জল নিয়ে যেত। মাত্র কয়েকদিন চলে সেই সাবমার্সেল ।সামনে আসছে প্রচন্ড দাবদাহ। এই গোষ্ঠীদন্দের শিকার কেন সাধারণ মানুষ হবে? প্রশ্ন উঠছে এলাকা থেকে। যদিও বিধায়ক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই । সাব মার্সেল সারিয়ে দেওয়া হবে।