চেক বাউন্স মামলায় ফের আদালতে হাজির হলেন না আমিশা প্যাটেল
নিজস্ব প্রতিনিধি: চেক বাউন্স মামলায় আদালতের হাজিরা আবারও ফাঁকি দিলেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল(AMEESHA PATEL)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। গতকাল অর্থাৎ ৫ মার্চ মঙ্গলবার রাঁচির একটি সিভিল কোর্টে প্রতারণা এবং চেক বাউন্সের মামলার বিষয়ে হাজির হওয়ার কথা ছিল 'গদর' অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে এদিন অভিনেত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও আমিশা এদিন মামলাটি স্থগিত করার অনুরোধ করেছিলেন।
কিন্তু অভিযোগকারীর আইনজীবী আপত্তি জানিয়ে বলেন যে, তাঁর অনুরোধেই মামলাটি একাধিকবার বাড়ানো হয়েছিল, তাই মামলাটির রায় ঘোষণায় বারবার বিলম্ব হচ্ছে। তবে এবার অভিনেত্রীকে চূড়ান্ত সুযোগ প্রদান করে, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ডিএন শুক্লা জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আমিশাকে আদালতে উপস্থিত হতেই হবে। নয়তো মুশকিলে পড়ে যাবেন অভিনেত্রী। মামলাটি ২০১৮ সালের। যখন রাঁচির চলচ্চিত্র প্রযোজক অজয় কুমার সিং সঙ্গীত প্রযোজনার অজুহাতে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
তিনি অভিযোগে বলেন যে, আমিশা প্যাটেল দেশি ম্যাজিক নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য তাঁর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চুক্তি অনুসারে, যখন ২০১৮ সালের জুনে ছবিটি মুক্তি পায়নি, তখন অজয় আমিশার কাছে ঋণ পরিশোধের দাবি করে ছিলেন। অভিনেত্রী প্রথমে টাকা পরিশোধ করতে না পারলেও, পরে একই বছরের অক্টোবরে ২.৫ কোটি এবং ৫০ লক্ষ টাকার দুটি চেক দিয়েছিলেন, যে দুটি চেকই বাউন্স হয়েছিল। এরপর একাধিক সমন সত্ত্বেও, আমিশা প্যাটেল আদালতে হাজির হননি। পরবর্তীকালে, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও গত বছরের ১৯ জুন দেওয়ানি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমিশা। শুনানির পর, আদালত প্রতিটি ১০,০০০ টাকার দুটি বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল।শুধু ২০১৮ নয়, ২০০৪ সালেও, আমিশা প্যাটেল এবং তার বাবা আর্থিক-আইনি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তখন আমিশা অভিযোগ করেছিলেন যে, তার বাবা তার পেশাগত বাধ্যবাধকতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং অনুমোদন ছাড়াই তার সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন।