For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ভাল্লুককে তরমুজ, চিতাবাঘকে ওআরএস, গরম থেকে বাঁচাতে রমনাবাগান চিড়িয়াখানায় বিশেষ মেনু

09:38 PM Apr 17, 2024 IST | Subrata Roy
ভাল্লুককে তরমুজ  চিতাবাঘকে ওআরএস  গরম থেকে বাঁচাতে রমনাবাগান চিড়িয়াখানায় বিশেষ মেনু
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমান: তীব্র তাপপ্রবাহে গোটা দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি নাজেহাল বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের জীবজন্তুরা(Animal)। তাদের সুস্থ রাখতে একাধিক বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন মেনু সংযোজন হয়েছে তাদের জন্য।রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। সেই সঙ্গে থাকছে ফ্রুট জুস এবং ওআরএস(ORS)। চিতাবাঘ, ভাল্লুককে(Beer) ভাল করে স্নান করানো হচ্ছে প্রতিদিন। রয়েছে বড় ফ্যানের(Fan) ব্যবস্থাও। এনক্লোজারের মাথায় রাখা হয়েছে খড়ের ছাউনি। খসখসি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ এনক্লোজার। বারবার জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে। কুমিরদের সুস্থ রাখতে পাম্প চালিয়ে জল ভরা হচ্ছে জলাশয়ে। সেইসঙ্গে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের দেখভাল করছেন।

Advertisement

চলতি গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রতিদিন মাত্রা ছাড়াচ্ছে। বেলা বাড়তেই লু বইছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাবদাহ আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীদের উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্য কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান জেলা বন দফতরের অধীনে রয়েছে রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্ক। এখানে চিতাবাঘ থেকে ভালুক, হরিণ, কুমির, ময়ূর ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর পাখি রয়েছে।

Advertisement

এই সমস্ত প্রাণীদের গরমের থেকে স্বস্তি দিতে ইতিমধ্যেই বনকর্মীরা সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকছেন। জেলা বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধরী বলেন, ‘ এখন পানীয় জলের সঙ্গে গ্লুকন-ডি এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে ,সমস্ত পশু পাখিদের। শরীরকে ঠান্ডা করতে সকাল সকাল চিতা বাঘের এনক্লোজারের বাইরে থেকে পাইপে করে জল দিয়ে স্নান করানো হচ্ছে ওদের। পশু পাখিদের ছাউনির খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে রোদের প্রখর তাপে তারা কষ্ট না পায়। এনক্লোজারের ভিতরে স্প্রিঙ্কলার মেশিনের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে রাখা হচ্ছে। অভয়ারণ্যের ভিতরে পুকুরগুলোয় এই গরমে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মোটর চালিয়ে পর্যাপ্ত জল ভরে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।

যাতে কুমিরদের(Cockdial) কোনও সমস্যা না হয়।ভালুকের খাঁচায় বড় ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভালুকের প্রধান খাদ্য মধুর পরিমাণ কমিয়ে তরমুজ বেশি খাওয়ানো হচ্ছে। অন্যান্য পশুদের জন্যও খাদ্যতালিকায় ফলমূল ও শাক সবজির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বক্ষণ সমস্ত পশু পাখিদের ওপর নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত রমনাবাগান জু – এ সমস্ত বন্যপ্রাণী সুস্থ রয়েছে। গরমের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত আগামী দিনগুলিতে তীক্ষ্ণ নজরদারি চলবে ওদের ওপর। যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়ে।

Advertisement
Tags :
Advertisement