OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

অনুপ ঘোষাল: সফল গায়ক হলেও ব্যর্থ রাজনীতিবিদ

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেও তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।
05:25 PM Dec 15, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু নয় সবার জন্য। অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য হতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা যে ভাল রাজনীতিবিদও(Politician) হয়ে উঠবেন তাঁর কোনও গ্যারেন্টি কিন্তু নেই। এই যেমন ড. অনুপ ঘোষাল(Dr. Anup Ghoshal)। এদিনই তিনি প্রয়াত হয়েছেন ৭৮ বছর বয়সে। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। কিন্তু দিনের শেষে যদি তাঁর মূল্যায়ণ করতে বসা হয় তাহলে দেখা যাবে তিনি খুব ভাল ও সফল গায়ক(Successful Singer and Musician) হয়ে উঠলেও সফল হতে পারেননি রাজনীতির ময়দানে। হুগলি জেলার(Hooghly District) উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের(Uttarpara Assembly Seat) তৃণমূল(TMC) বিধায়ক(MLA) হয়েও তাঁকে রাজনীতির জগত থেকে সরে যেতে হয়েছে।

ভৌগোলিক দিক থেকে অবশ্যই অনুপবাবু হুগলি জেলার বাসিন্দা নন। সত্যজিত রায়ের ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ এবং ‘হীরক রাজার দেশে’র গান দিয়ে আমজনতা তাঁকে চিরকালের জন্য মনে গেঁথে রেখেছেন। আজও অনুপবাবুর গাওয়া গান বাঙালির মুখে মুখে ফিরলেও তা তাঁর ফের প্রার্থী হওয়ার পথে সহায়ক হতে পারেনি। ২০১১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়া থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেও তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল ঠিক তার ৫ বছর পরের ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। মমতা তাঁকে টিকিটই দেননি। পরবর্তীকালে রাজনীতির ময়দানে সেভাবে তাঁকে দেখাও যায়নি। এমনকি মমতার আশেপাশেও নয়। কিন্তু কী এমন হয়েছিল যে মমতা তাঁকে আর প্রার্থীই করলেন না?

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে অনুপবাবু পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭৫৩ ভোট। বামফ্রন্ট প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬১ হাজার ৫৬০টি ভোট। কিন্তু সেই নির্বাচনে জেতার পরে উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে যতটা অনুপবাবুকে পাওয়া উচিত ছিল, তা পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ। উত্তরপাড়ার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, দলের কারও সঙ্গেই তেমন যোগাযোগ রাখতেন না। দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগও এড়াতে পারেননি। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়েছিল শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আকচাআকচি। উত্তরপাড়ায় নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত ভবনে দলের কার্যালয় খোলা নিয়েও দলের নেতাদের বিরূপ মনোভাবের সামনে পড়া—এসবই তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিল। বিধায়ক হিসাবে পাঁচ বছরে ওই কেন্দ্রে অনুপ ঘোষালের নানা কাজকর্ম সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি। এমনকী, এলাকায় তাঁর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। উঠেছিল স্বজনপোষণেরও অভিযোগ। তাই মমতাও সিদ্ধান্ত নিতে পিছু পা হননি। ড. অনুপ ঘোষেলেরও আর সফল রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা হয়নি।

Tags :
Dr. Anup GhoshalHooghly District.Mamata BanerjeeMlaPoliticianSuccessful Singer and MusicianUttarpara Assembly Seat
Next Article