For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

লোকসভার রেজাল্ট দেখেই বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল, লক্ষ্য ২৬’র নির্বাচন

যদি শাহি লক্ষ্যমাত্রা সুকান্ত-অমিতাভরা অর্জন করে দেখাতে পারেন তাহলে তাঁদের গদি টিকবে, নাহলে নতুন কাউকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হবে।
10:17 AM Apr 02, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
লোকসভার রেজাল্ট দেখেই বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল  লক্ষ্য ২৬’র নির্বাচন
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচন এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচন দুটোই হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের পদে থাকাকালীন সময়েই। সেই দুই নির্বাচনেই বাংলার মাটিতে ঐতিহাসিক সাফল্যের মুখ দেখেছে বিজেপি। এক ধাক্কায় বাংলা থেকে ১৮জন সাংসদ ও ৭৭জন বিধায়ক। কিন্তু তারপরেও গদি গিয়েছে দিলীপের। ঘটনা হচ্ছে, সেই সাফল্য এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির আর কোনও নেতা এনে দিতে পারেননি। আর তাই এখন বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)-অমিতাভ চক্রবর্তী(Amitabha Chakarabarty) গোষ্ঠীর ওপর প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে যাতে ২৪’র ভোটে(Loksabha Election 2024) উনিশের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়া যায়। এমনিতেই অমিত শাহ(Amit Shah) বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সামনে ২৪’র ভোতে ২৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে দিয়েছেন। এখন সূত্রে জানা যাচ্ছে, যদি এই লক্ষ্যমাত্রা সুকান্ত-অমিতাভরা অর্জন করে দেখাতে পারেন, তাহলে তাঁদের গদি টিকবে, নাহলে তাঁদের গদি ছেড়ে দিতে হবে। নতুন কাউকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে এনে ২০২৬’র রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সংগঠন সাজিয়ে তোলা হবে।

Advertisement

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোট মিটলেই বঙ্গ বিজেপির সংগঠনিক পর্যায়ে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা থাকছে। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতি পদে বসেন সুকান্ত মজুমদার। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদ থেকে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে ‘প্রমোশন’ পান অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির অন্দরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের(এবিভিপি) প্রাক্তন এই নেতার বিরুদ্ধে তখন থেকেই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। দলের রাজ্য এক আদি নেতার দাবি, সুকান্ত মজুমদারের ‘নরম’ মনোভাবকে হাতিয়ার করে এককালে এবিভিপি অফিস আসা-যাওয়া করা কয়েকজন জোর করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়। তা নিয়ে সোজা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের(আরএসএস) কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। তার প্রেক্ষিতেই অমিতাভ চক্রবর্তীর ‘ডানা ছাঁটতে’ গোয়া থেকে সতীশ ধোন্দকে বাংলায় উড়িয়ে আনা হয়। রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে বসানো হয় ধোন্দকে। পদাধিকার বলে গোয়ার প্রাক্তন এই শীর্ষ সংগঠনিক নেতার অধীনে চলে আসে বাংলার একাধিক জেলার দায়িত্ব।

Advertisement

কিন্তু সেখানেও অমিতাভ ‘খবরদারি’ চালান বলে আরএসএস এবং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকে অভিযোগ করেন ধোন্দ। কয়েকমাস আগে শহরের এক হোটেলের এক বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির ইনচার্জ মঙ্গল পান্ডে ভরা হাটে এনিয়ে বোমা ফাটান। তারপর থেকেই অমিতাভ চক্রবর্তী ও তাঁর অনুগামীরা ব্যকফুটে চলে গিয়েছেন বলে অভিমত ওই আদি নেতার। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও ওই গোষ্ঠীকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে দিল্লি। উলুবেড়িয়া, বীরভূম, উত্তর কলকাতা, আমরাবাগ এবং উত্তবঙ্গের কয়েকটি আসনের জন্য সংশ্লিষ্ট লবির একাধিক নেতা টিকিট পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও, কারও কপালে তা জোটেনি। ওই আদি নেতার দাবি, সঙ্ঘের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠনিক সম্পাদক পদে নতুন মুখ আনা হবে। একান্ত যোগ্য কাউকে না পাওয়া গেলে সাময়িকভাবে সতীশ ধোন্দকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে। দলের শীর্ষ মহলের একাংশের মতে, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ওই লবির নেতারা আড়ালে সুসম্পর্ক রেখে চলে। গত কয়েকবছরে বহু নেতা এই রসায়ন নিয়ে ধন্দে ছিলেন। কারণ, বিরোধী দলনেতার প্রতিনিধি কিংবা ওই লবির লোকেরা প্রাকশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। কিন্তু গোটাটাই লোক দেখানো। দলের বিভিন্ন অংশের মনোভাব বুঝতেই দু’পক্ষ এই কৌশল ব্যবহার করত। বর্তমানে তা প্রায় সকলেই বুঝে গিয়েছেন।

Advertisement
Tags :
Advertisement