ব্যান্ডেলে খুনের ঘটনায় আটক মৃতের কলেজ পড়ুয়া ভাইপো
নিজস্ব প্রতিনিধি: হুগলি জেলার(Hooghly District) চুঁচুড়া সদর মহকুমার ব্যান্ডেলে(Bandel) বুধবার রাতে খুন(Murder) হন কলকাতা পুরনিগমের কর্মী(KMC Employee) লালবাবু গোয়ালা(৪৮)। তিনি ব্যান্ডেলের নিউ কাজিডাঙা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে হেঁটে কুলিপাড়া দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি(Shootout) করে তাঁকে খুন করা হয়। বুকের বাঁ দিকে গুলি বিঁধে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন লালবাবু। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার পুলিশ লালবাবুর কলেজ পড়ুয়া ভাইপো আদিত্য গোয়ালাকে আটক করেছে। পারিবারিক কোনও বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটিও তদন্তের আওতায় রেখেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
গতকাল রাতের ব্যান্ডেল স্টেশনের কাছে শুটআউটের ওই ঘটনায় রীতিমত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। রাতেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর লালবাবুর বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরোনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। অতীতে লালবাবুর অপরাধ যোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তাতে জেল খাটতেও হয় তাঁকে। ঘটনার সময়, বৃষ্টি পড়ছিল। তাই রাস্তায় লোকজন বিশেষ ছিল না। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন তারা কোনও গুলির শব্দ পায়নি। কাউকে পালাতেও দেখেনি। পুলিশের ধারনা দেশি বন্দুক ব্যবহার করেই গুলি করা হয়েছে। গলির মুখেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন লালবাবু।
পুলিশ কমিশনার এদিন জানিয়েছেন, ‘খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনের পিছনে পরকিয়ার ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। কেননা লালবাবুর ভাই ধর্মেন্দ্র গোয়ালাও কলকাতা পুরনিগমের কর্মী। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল লালবাবুর। সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ধর্মেন্দ্র সহ তাঁর ছেলে আদিত্য। সেই জায়গা থেকেই আদিত্যকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেছিল তার মা। এই ঘটনা খুনের পিছনে অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে আসছে কিনা সেটাও এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যেখানে লালবাবু খুন হয়েছেন সেখানে এদিন পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।