For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

রামমন্দিরের কাঁধে ভর দিয়ে উত্তরবঙ্গে হাওয়া তোলার ছক কষেছে বিজেপি

২৪’র লোকসভা ভোটে উত্তরের মাটি ধরে রাখতে বিজেপি নেতৃত্ব হাতিয়ার করতে চলেছে রামমন্দিরকে। যদিও তা না পসন্দ সঙ্ঘের।
10:30 AM Nov 27, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
রামমন্দিরের কাঁধে ভর দিয়ে উত্তরবঙ্গে হাওয়া তোলার ছক কষেছে বিজেপি
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) মাটিতে উনিশের ভোটে বিজেপি(BJP) যে সব জায়গায় থাবা গেড়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তরবঙ্গ(North Bengal)। সেখানকার ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই জয়ী হয়েছিল তাঁরা। তৃণমূলকে(TMC) কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল। কিন্তু একুশের ভোটে উত্তর দিনাজপুর ও মালদায় ভাল ফল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল জোড়াফুল শিবির। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকেও আসন বের করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলায় কোনও আসন পায়নি তৃণমূল। আবার কালিম্পংয়ে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থীই জয়ী হয়েছিল। তারপর সময় যত গড়িয়েছে উত্তরবঙ্গের বুকে একের পর এক নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ঠিক ততটাই হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। এই অবস্থায় ২৪’র ভোটে(General Election 2024) উত্তরের মাটি ধরে রাখতে বিজেপি নেতৃত্ব হাতিয়ার করতে চলেছে রামমন্দিরকে(Ram Mandir)।

Advertisement

রাজ্যে বিজেপির ঘাঁটিগুলির মধ্যে উত্তরবঙ্গের মাটি অন্যতম। ২০১৯ সাল থেকে এখানে মাথা তোলে গেরুয়া শিবির। তাদের সেই হাওয়া ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তুঙ্গে ছিল। সেই নির্বাচনের পরই থেকেই গেরুয়া শিবিরে ছন্দপতন হয়। এখন সময় যত গড়াচ্ছে ততই সেখানে দলীয় সংগঠন কার্যত ঝিমিয়ে পড়ছে। মিটিং, মিছিল, সভাতে তেমন লোক আসছে না। এমনকী, কিছু জায়গায় দলীয় কোন্দল চরমে উঠেছে। তাই লোকসভা ভোটের মুখে রামমন্দিরের কাঁধে ভর দিয়ে উত্তরবঙ্গে নিজেদের পালে হাওয়া তোলার ছক কষেছে পদ্ম শিবির। পিছনে থাকছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS। আগামী ১৫ দিনে সঙ্ঘ পরিবার কোচবিহার থেকে মালদা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় সাড়ে ১২ লক্ষ পরিবারের কাছে পাঠাবে অযোধ্যার রামমন্দিরে পূজিত চাল। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, রামমন্দির ইস্যুতে সঙ্ঘ পরিবার রাজনীতির রং মেশাতে নারাজ। তা৬রা চাইছেন উত্তরের সব হিন্দু পরিবারের কাছে রামমন্দিরকে পৌঁছে দিতে। তাঁদের কাছে এটা বিচার্য নয় যে, কে তৃণমূলের সমর্থক আর কে বিজেপির সমর্থক।

Advertisement

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় রামশিলা প্রদর্শন করানো হয়। সেই সময় লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন সেই সব অর্থদাতাদের বাড়িতে বাড়িতে মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র, মন্দিরের পোস্টার এবং ভগবান রামের কাছে পূজিত চাল প্রদান করা হবে সঙ্ঘের তরফে। আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। ইতিমধ্যেই রামমন্দির থেকে পূজিত এক কলস চাল এসেছে এখানে। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ব্যাপারে অভিযান চালানো হবে। ১৫ দিনে ওই চাল সাড়ে ১২ লক্ষ পরিবারের মধ্যে বিলি করা হবে। সেই প্রস্তুতি চলছে। তবে এই কর্মসূচীর সঙ্গে বিজেপির যে কোনও যোগ থাকছে না সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদের রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ বনসাল। তিনি জানিয়েছেন, ‘রামমন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে রাজনীতি কিংবা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা হিন্দু সহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের বার্তা নিয়ে উত্তরবঙ্গর সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছনো হবে।’

সম্প্রতি ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে তারা ব্যর্থ হয়। এমনকী, সেভাবে তাদের লড়াই, আন্দোলন নেই। কয়েক মাস আগ ডুয়ার্স থেকে সরিয়ে শিলিগুড়ির কাছে দাগাপুরে চা শ্রমিকদের নিয়ে সভা করে বিজেপি। সেই সভাও ফ্লপ হয়। আর শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলায় দলে রদবদলের পর গোষ্ঠী কোন্দলও মাথাচাড়া দিয়েছে। লোকসভা ভোটের মুখে এমন পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চাপে গেরুয়া শিবির। তাই তারা অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনকে হাতিয়ার করে তোলার ছক কষেছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশ বলেন, জানুয়ারি মাস পড়লেই দলের পক্ষে হাওয়া উঠবে। কারণ রামমন্দিরের উদ্বোধন। তখন দল এমনিতেই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এজন্য দলীয়স্তরে গোপনে কাজকর্ম চলছে। বিজেপির উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন জানিয়েছেন, ‘বুথস্তরে দলীয় কর্মসূচি চলছে। দল বড় হওয়ায় ভালো-মন্দ সবকিছুই আছে। আর রামমন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জাগ্রত হবে সমগ্র হিন্দু সমাজ। তাতে বিজেপিও চনমনে হবে। এখানে আপত্তির কিছু নেই।’

Advertisement
Tags :
Advertisement