OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

CAA’র পাল্টা মমতার হাতিয়ার জমি বাড়ির দলিল, হচ্ছে Digitization

মানুষের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত হয়রানি ঠেকাতে ১৯৭০ সাল থেকে নথিভুক্ত সমস্ত দলিলের Digitization করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
02:39 PM Feb 14, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) ২৪’র ভোটের(General Election 2024) আগে আরও একবার চুর চড়িয়েছেন CAA বা Citizenship Amendment Act নিয়ে। বেশ বড় গলায় দাবি করেছেন ২৪’র ভোটের আগেই CAA লাগু হবে গোটা দেশেই। সেই আবহে পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলার(Bengal) ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাল্টা প্রস্তুতির হাতিয়ার হতে চলেছে জমি-বাড়ির দলিল(Land and House Deed)। এই CAA লাগু হওয়ার ভয়ে অনেকেই এখন নিজেদের জমি-বাড়ির পুরাতন দলিল নতুন করে বের করতে চাইছেন। আর সেই সময়ে অনেকে যেমন জালিয়াতির মুখে পড়ছেন, তেমনি অনেকে প্রতারণার মুখেও পড়ছেন। আবার অনেকে সেই দলিল খুঁজেও পাচ্ছেন না। এবার এই সব সমস্যা থেকে আমজনতাকে রেহাই দিতে পদক্ষেপ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেননা নাগরিকত্বের অন্যতম প্রমাণ হল জমি বা বাড়ির দলিল। নবান্ন সূত্রে খবর, মানুষের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত হয়রানি ঠেকাতে ১৯৭০ সাল থেকে নথিভুক্ত সমস্ত দলিলের Digitization করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

জমি-বাড়ি কেনার আগে সবথেকে জরুরি কাজ নথিপত্র যাচাই। সব কিছু খতিয়ে দেখে তবেই আর্থিক লেনদেনে যাওয়া উচিত। জমি-বাড়ি ক্রয় বিক্রয়ের নামে প্রতারণা রুখতে বহু দিন ধরে এব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও নকল দলিল দেখিয়ে জালিয়াতি চলছে। বহু ক্ষেত্রে জমি কেনার পরে ক্রেতা জানতে পারেন যে, রাজ্যের তথ্যভাণ্ডারে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মালিক হিসেবে বিক্রেতার নামই নেই। ফলে জমির পরচা সহ অন্যান্য কাগজপত্র হাতে পেতেও চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয় আমজনতাকে। এর ওপর এখন ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে CAA লাগুর ঘোষণা। এই অবস্থায় অনেকেই নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বাপ-ঠাকুর্দার কেনা জমি-বাড়ির দলিলকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু চট করে সেই দলিল তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না, নতুন করে করাতেও পারছেন না। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী ১৯৭০ সাল থেকে নথিভুক্ত সমস্ত দলিলের Digitization করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই কাজ হয়ে গেলে সেই দলিল রাজ্যের অর্থদফতরের অধীনে থাকা Directorate of Registration এবং Stamp Revenue’র ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। ফলে জমি কেনার আগে বা পরে কারও সাহায্য ছাড়াই ৪০-৫০ বছরের পুরনো দলিল সংক্রান্ত তথ্য সহজে জেনে নিতে পারবেন যে কেউ।

নবান্ন সূত্রে খবর, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত নথিভুক্ত সমস্ত দলিলের Digital Copy বা সেই সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। তার আগের কিছু বছরের হাতে লেখা দলিলের তথ্য ইতিমধ্যেই Digitization করেছে রাজ্য। কিন্তু তার থেকেও পুরনো দলিলের তথ্য পোর্টালে নেই। তাতেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণে ১৯৭০-’৮৪ সালের মধ্যে হওয়া জমি বাড়ির Registration’র দলিলের Digitization এবং তার তথ্য পোর্টালে তুলে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই ১৪ বছরের সময়কালে অন্তত ৩০ লক্ষ দলিল রয়েছে বলে দাবি যেগুলি পোর্টালে তোলা হবে। ৫০-৬০ বছরের পুরনো দলিলের তথ্য জানতে এতদিন সংশ্লিষ্ট Registration অফিসে সশরীরে গিয়ে আবেদন জানাতে হতো। পুরনো নথি খুঁজে বের করতেই সময় লেগে যেত বেশ কিছুদিন। Digitization’র কাজ শেষ হলে অনলাইনে এক ক্লিকেই ওই সমস্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। জমি কেনার আগে ১৯৭০ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট জমি বা বাড়ির মালিকানা কার কার হাতে থেকেছে বা ‘চেন ডিড’ সহজেই মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন ক্রেতারা। ফলে নাগরিকত্ব নিয়ে আর কোনও ভয় থাকবে না।

Tags :
Amit shahbengalCAADigitizationGeneral Election 2024Land and House DeedMamata Banerjee
Next Article