OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি পঞ্চায়েতে বিমার জন্য ক্যাম্প, নজরে আলুচাষীরা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের আলু চাষীদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিমার জন্য ক্যাম্প করবে কৃষি দফতর।
11:56 AM Dec 10, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের আলু চাষীদের(Potato Farmers) পাশে দাঁড়াতে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিমার(Crop Insurance) জন্য ক্যাম্প(Camp) করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কৃষি দফতর(Agriculture)। রাজ্যের সমস্ত আলুচাষীকেই বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশেই রাজ্যের কৃষি দফতর এই পদক্ষেপ করছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের কৃষি দফতর সমস্ত এলাকায় গিয়ে ক্যাম্প করবে। আলুচাষীদের সবরকমভাবে সহযোগিতাও করা হবে। কৃষি দফতর থেকেই জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষীরা বিমা করাতে পারবেন। আলুর পাশাপাশি গম, ছোলা, মসুর, সর্ষে চাষের জন্যও ওইসময় পর্যন্ত বিমা করানো যাবে। বিমা করার জন্য চাষীদের ভোটার, আধার কার্ড, পাশবই, জমির খতিয়ান, পরচা, আনতে হবে। সবাইকে আনা হবে বাংলা শস্য বিমা যোজনার(Bangla Shasya  Bima Yojna) আওতায়।

রাজ্যের কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অকাল বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে। হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেই ক্ষতির মাত্রা সব থেকে বেশি। এবার হুগলি জেলায় ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে সেই সংখ্যাটা ৭৩ হাজার হেক্টর। পূর্ব মেদিনীপুরে আলু চাষ হচ্ছে প্রায় ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। বীরভূমে সেই চাষের জন্য এবার প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই ৪ জেলায় ২৫৬ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হচ্ছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে অকাল বৃষ্টির দরুন এই ৪ জেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমির আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বাড়তে পারে কেননা এখনও বহু জমিতে জল জমে রয়েছে। ওই জমিগুলির বীজ নষ্ট হয়ে যাবে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। আলু গ্রাম বাংলায় ধানের মতোই অর্থকারী ফসল হিসাবে গণ্য হয়। এই অবস্থায় সেই চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হলে ধাক্কা গিয়ে লাগবে আলু চাষীদের গায়েই।

হিসাব মতো চলতি বছরে আলু চাষ করতে বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে রাসায়নিক সারের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার টাকা, বীজ আলুর জন্যও সমপরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছে। এরপর আলু আলু লাগানো থেকে তোলার জন্য শ্রমিক খরচ ৪-৫ হাজার টাকা, মাটি তৈরি করতে ট্রাক্টর খরচ ২০০০ টাকা, সেচের জল ২৫০০ হাজার টাকা, আলুর কীটনাশকের দাম ২৫০০ টাকা। এই সব খরচ মিটিয়ে আলু তোলার সময় বিঘাপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ বস্তা আলু পাওয়া যায়। গত আলুর মরশুমে আলু বিক্রি করে চাষিদের বিঘাপ্রতি মিলছে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা। সেই হিসাবে খরচের পাল্লাই বেশি। এরওপর এবার যোগ হয়েছে, বৃষ্টির জন্য ক্ষতির বহর। ঘটনাচক্রে এর মধ্যেই রাজ্যে ২জন আলুচাষীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুটি ক্ষেত্রেই চাষে ক্ষতির আশঙ্কাই উঠে এসেছে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে। এর মাঝেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে নামছে কৃষি দফতর। লক্ষ্য রাজ্যের সব চাষীকেই বিমার আওতায় নিয়ে আসা।

Tags :
AGRICULTUREBangla Shasya Bima YojnaCamp.Crop InsuranceMamata BanerjeePotato Farmers
Next Article