মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের ১ ঘন্টার মধ্যেই পাকড়াও অপরাধী
নিজস্ব প্রতিনিধি: হাজারো কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও ঠেকানো গেল না মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা। এদিন অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা(Madhyamik 2024)। সেই পরীক্ষা ঘিরে এবার রীতিমত কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি পরীক্ষার সময়ও বদলে দেওয়া হয়েছিল ৩৫ বছর পরে। তারপরও প্রশ্ন ফাঁস(Question Paper Leak) ঠেকানো যায়নি। তবে মন্দের ভালো প্রশ্ন ফাঁসের ১ ঘন্টার মধ্যেই সামনে চলে আসে কোথা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে আর সেটা কেই বা করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে এদিন হোয়াটসঅ্যাপের(Whatsapp) মাধ্যমে মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায় পরীক্ষার ১ ঘন্টার মধ্যে। সেই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মালদা জেলার(Malda District) দুই পরীক্ষার্থীর(Examinee) পরীক্ষা পর্যন্ত বাতিল করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যে প্রশ্নপত্র এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেটা যে এবছরেরই মাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলার প্রশ্নপত্র সেটারও প্রমাণ মিলেছে দুটি প্রশ্নপত্রই হুবহু মিলে যাওয়ায়। কার্যত মূল প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেই তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিকের প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেই সব প্রশ্নপত্র। সেই সম্ভাবনা এড়াতে এ বছর বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্রগুলি এ বছর এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে কেউ তার ছবি তুললে তাঁকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। প্রশ্নপত্রে প্রত্যেক প্রশ্নের পাশে একটি করে QR Code ছেপেছিল পর্ষদ। কেউ ছবি তুললে সেই QR Code’র সূত্রেই সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে ছবিটি কোথা থেকে তোলা হয়েছে। রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকেই প্রশ্নের ছবি তোলা হোক না কেন, পর্ষদ তা জানতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছিল। পর্ষদ প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঠেকাতে না পারলেও দুই পরীক্ষার্থীকে খুব সহজেই চিহ্নিত করে নেয় যারা এই প্রশ্ন ফাঁস করেছিল।
যদিও এদিন পরীক্ষা শুরুর আগেই রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষকেরা পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রশ্নের ছবি তোলা নিষিদ্ধ। যদি কেউ ছবি তোলেন, তবে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তারপরেও অবশু দুই পরীক্ষার্থী প্রশ্নের ছবি তুলে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে পিছুপা হয়নি। শুক্রবার মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেলা ১টায়। দুপুরে পর্ষদ সাংবাদিক বৈঠক করবে। তার আগে পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে বেরিয়ে যাওয়ার যে ঘটনা ঘটে, এক ঘণ্টার মধ্যেই তাতে দোষীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। একে পর্ষদ নিজেদের সাফল্য হিসাবেই দেখছে। মালদার যে দুই পরীক্ষার্থী এই কাজ করেছে তাদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাদের মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনই বাতিল করে দিয়েছে