For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করতে CMO নীতি রূপায়ণের পথে কেন্দ্র

দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করে সেই সব রাজ্যের সরকার চালানোর পরিচালনা ব্যবস্থাও নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছে মোদি সরকার।
10:37 AM Feb 17, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করতে cmo নীতি রূপায়ণের পথে কেন্দ্র
Courtesy - Google and Facebook.
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারের আমলে বার বার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করার এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে(Federal Structure) ভেঙে দিয়ে এককেন্দ্রীক কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করার। সেই সব পভিযোগের পরেও অবশ্য গেরুয়া বা মোদি সরকার কেউই থমকে যায়নি। বরঞ্চ তাঁদের লক্ষ্য, দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমতা(Power of Chief Ministers) খর্ব করে সেই সব রাজ্যের সরকার চালানোর পরিচালনা ব্যবস্থাও নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া। আর সেই লক্ষ্য পূরণে মোদি সরকারের হাতিয়ার হতে চলেছে PMO বা Prime Minister’s Office’র ধাঁচে রাজ্যে রাজ্যে গড়ে উঠতে চলা CMO বা Chief Ministers Office। এই CMO কিন্তু রাজ্য সরকার গঠন করবে না, করবে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র তাঁদের নিজেদের মতন সচিব ও আমলাদের নিয়ে সেই কমিটি গঠন করবে। সেখানে থাকবেন কেন্দ্রের পছন্দমতন IAS ও IPS আধিকারিকেরাও। এরাই রাজ্যের সরকার পরিচালনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী, মুখসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবদের আর কোনও ভূমিকাই থাকবে না সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে। এই নয়া নীতি সবার আগে লাগু হচ্ছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। তারপর একে একে বিজেপি শাসিত সব রাজ্যেই তা লাগু হবে।

Advertisement

 জানা গিয়েছে, মূলত রাজ্য সরকারগুলির পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রের এক্তিয়ারে নিয়ে আসা এবং বিরোধীদের হাত থেকে যাবতীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করছে মোদি সরকার। এর নেপথ্যে সবার আগেই রয়েছে বাংলার বুকে ক্ষমতায় থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। ভোটের মাঠে যে মমতাকে হারানো যাবে না তা বুঝেই এবার মোদি সরকার রাজ্যের যাবতীয় ক্ষমতা কেড়ে নিতে এগোচ্ছে। গত ২-৩ বছর ধরে কেন্দ্রের লাগাতার বঞ্চনার মুখে পড়েছে বাংলা। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প সহ আবাস যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়নকে শুধু যে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাই নয়, বাংলাকে একের পর ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম করে তুলেছেন। সেই সঙ্গে রাজ্যের মানুষকে যাবতীয় আর্থসামাজিক সুযোগ দিয়ে আমজনতার আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাঁদের নানান সমস্যা থেকে সুরাহা দিয়েছেন। এই জায়গায় বিজেপি হাজার চেষ্টা করেও মমতাকে ঘায়েল করতে পারছে না। তাই লক্ষ্য এবার ঘুরপথে মমতার হাতে থেকে বাংলার যাবতীয় প্রশাসনিক ও শাসন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া। আর সেই লক্ষ্যেই CMO গঠনের তোড়জোড়।

Advertisement

সাংবিধানিক ভাবে রাজ্যপাল রাজ্যের প্রধান হলেও মুখ্যমন্ত্রীই তাঁর মন্ত্রিসভা ও আমলাকুলের মাধ্যমে রাজ্য চালান। মোদি সরকার চেয়েছিল রাজ্যপালের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা মমতার হাত থেকে কেড়ে নিতে। কিন্তু তাতে সুফল আসেনি, বরঞ্চ একের পর এক মামলায় জড়িয়েছে রাজভবন। তারপর চেষ্টা করা হয় যাবতীয় টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে বাংলার মানুষকে ভাতে মারার পাশাপাশি রাজ্যকে অর্থনৈতিক ভাবে অচল করে দিতে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হয়ে মোদি শিবির। আর তাই এবার আসছে CMO। রাজ্য পরিচালনায় পরোক্ষে হস্তক্ষেপ করার নয়া প্রক্রিয়া, যা শুরু হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ থেকে। এই রাজ্যে বিজেপির নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। সেখানে হঠাৎ ১০ জন IAS অফিসারকে নিয়ে একটি বিশেষ মু্খ্যমন্ত্রীর দফতর হচ্ছে। এই দফতরই Super CMO হিসেবে কাজ করবে। ঠিক যেমন PMO। রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের স্টাইলেই হবে CMO। কেন্দ্র সরকার এই Super CMO’র সঙ্গেই সাধারণভাবে যোগাযোগ রাখবে। অর্থাৎ মুখ্যসচিব কিংবা স্বরাষ্ট্র সচিবের বদলে নতুন ব্যবস্থায় PMO কথা বলবে CMO’র সঙ্গে। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকেও বলা হবে Minimum Government Maximum Governance প্রক্রিয়া নিতে, যার আওতায় মন্ত্রীর সংখ্যা কমাতে হবে। একাধিক দঅফতরের র দায়িত্ব একজনকেই দিয়ে করাতে হবে এবং সচিবালয়ের আয়তন বাড়াতে হবে। নয়া ব্যবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন গৌণ। আধিকারিকরাই হবেন মুখ্য। তবে এই ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের বিরোধী বিরোধী দলগুলি কতখানি মেনে নেয় সেই নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

Advertisement
Tags :
Advertisement