কৃষ্ণা নদীর তল থেকে উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি, শিবলিঙ্গ
নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষ্ণানদীর তল থেকে উদ্ধার হল একটি বিষ্ণুমূর্তি ও একটি শিবলিঙ্গ। বুধবার কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার হল এই দুটি দুষ্প্রাপ্য জিনিস। রায়চূড়ে ব্রিজ নির্মাণের সময়ই এই মূর্তি দুটি উদ্ধার হয়েছে।
প্রত্নতত্ববিদদের মতে, মূর্তি দুটি প্রায় হাজার বছরের পুরনো। এখন বিষ্ণুমূর্তি ও শিবলিঙ্গটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্বাবধানে রয়েছে। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দিরে যে রামের মূর্তির বসানো হয়েছে, ঠিক সেইরকমই দেখতে এই বিষ্ণুমূর্তিটি। এই বিষ্ণুমূর্তিটির চারপাশেই রয়েছে দশ অবতার। প্রত্নতত্ববিদদের মতে, একাদশ অথবা দ্বাদশ থ্রীষ্টাব্দে এই বিষ্ণুমূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল ও মূর্তিটিকে কোনও একটি মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছিল। বিষ্ণুমূর্তি ও শিবমূর্তি, এই দুটি মূর্তিকেই চালুক্য সাম্প্রাজ্য থাকার সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। সবুজ রঙয়ের মিশ্র পাথর দিয়ে মূর্তি দুটি তৈরি হয়েছে বলে প্রত্নতত্ববিদদের মত। এই মূর্তি দুটির সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে গবেষণা শুরু করেছেন প্রত্নতত্ববিদরা।
সম্প্রতি উদ্ধারপ্রাপ্ত বিষ্ণুমূর্তি সম্পর্কে রায়চূড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্বের অধ্যাপক পদ্মজা দেশাই জানিয়েছেন, সম্ভবত মন্দির ধ্বংসের সময় বিষ্ণুমূর্তিটিকে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শক্রুদের হাত থেকে বাঁচাতেই মূর্তিটিকে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষ্ণুর সেই মূর্তিতে বিষ্ণু দশবতারকে দেখানো হয়েছে। এই দশবতারের মধ্যে রয়েছে মৎস, কুর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, ভামনা, রাম, পরশুরাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ ও কালকি। জানা গিয়েছে, ওই বিষ্ণুমূর্তিতে চারটি হাত রয়েছে ও সেটি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রয়েছে। অনেকের মতে, ওই বিষ্ণুমূর্তিটির সঙ্গে ভেঙ্কটেশ্বরয়ার মিল রয়েছে।