‘রাস্তাঘাট কী আমি ঝাঁট দেব?’ পুরসভার বেহাল অবস্থা নিয়ে রুদ্রমূর্তি মমতা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। কোথায় জ্বলছে না আলো আবার কোথাও রাস্তায় পড়েছে রয়েছে নোংরা জঙ্গাল। আর তাতে কার্যত বেশ অসুবিধার মুখে পড়েছেন আমজনতা। এবার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার দিকে নজর পড়তেই বেশ ক্ষুব্ধ হলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা থেকে ছাড়া পেলেন না প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব থেকে জনপ্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয় নাম ধরে ধরে কাজ নিয়ে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নবান্নের সভাঘর থেকে কলকাতা, হাওড়ার রাস্তার অবস্থা ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এ বার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরোতে হবে? শুধু উপর দেখলে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা এবং আলো কোনটাই দেখে না। শুধু ট্যাক্স বাড়ানো জন্য লোক বসাচ্ছে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।‘ এখান থেকেই স্পষ্ট যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের বেহাল অবস্থা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার সভার শুরুতেই হাওড়ার বেহাল অবস্থা নিয়ে দলত্যাগী রথীন চক্রবর্তীকে নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন,’ রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল, তখন হাওড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।‘ শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে রথীন একাধিক বেআইনি নির্মাণ করেছেন বলে দাবি করেছেন মমতা। অন্যদিকে রাস্তার জল এবং আলো নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানান, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় লাইট জ্বলেই যাচ্ছে। ভাবছে, সরকার টাকা দেবে। টাকা আসছে কোথা থেকে? আবার অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে কল থেকে অবিরাম জল পড়ে যাচ্ছে। কিছু লোক জলের ঢাকনা খুলে বিক্রি করে দিয়েছে।‘ বলা বাহুল্য, এদিনের সভা থেকে কোন পুরসভা পানীয় জল, হাউসিং, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য নিকাশীতে সেরা এবং কোন পুরসভা খারাপ কাজ করেছে তা সামনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।