সন্দেশখালিকাণ্ডে ডিজিকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে(DG)। অতএব খুব শীঘ্রই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড হতে পারেন সন্দেশখালি থানার(Sandeshkhali P.S.) একাধিক পুলিশ আধিকারিক। এদিন সন্দেশখালিকাণ্ডে মহিলা কমিশনের প্রধান লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সহ একাধিক সদস্য সেখানে যান। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাদের বয়ান সংগ্রহ করে এনে মহিলা কমিশন রিপোর্ট জমা দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে(CM)। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে জামিন পেলেন না সন্দেশখালির সিপিএমের নিরাপদ সর্দারের তিনদিন পুলিশ হেফাজত হল। নির্দেশ দিল বসিরহাট আদালত। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ সিং জামিন পেলেন। একইসঙ্গে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার জামিন পেলেন। এদিকে পুলিশ মোট ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয় সন্দেশখালি থানার। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং বিজেপি নেতা(BJP Leader) জামিন পেলেও জামিন পেলেন না সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় তৃণমূল নেতা শুভ হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে আগুন এবং বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মোট ১১৭ জনের নামে এফআইআর করেছিল। তার মধ্যে এক নম্বর নাম ছিল সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের। পুলিশ রবিবার বাঁশদ্রোণী থানা এলাকা থেকে নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করে।
এরপরই সিপিএম সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত বসিরহাট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় নিরাপদ সর্দারকে। সোমবার বসিরহাট আদালতে নিরাপদ সর্দারকে পেশ করা হয়।নিরাপদ সর্দারকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিপিআইএম সন্দেশ খালি এক এবং দুই নম্বর ব্লকে বন্ধের ডাক দেয় সোমবার। এদিকে,সন্দেশখালির যাবার পথে বাসন্তি হাইওয়েতে রাজবাড়ী, সরবেড়িয়া, আকুঞ্জি পাড়া, মিনাখা সহ একাধিক জায়গায় এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে(C V Ananda Bose) বিক্ষোভ প্রদর্শন করার জন্য। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা, রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়। এদিকে অবরোধ বিক্ষোভে বাসন্তী হাইওয়েতে রাজ্যপালের কনভয় বেশ কিছুক্ষণ আটকে পরে। যদিও তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ এবং বিক্ষোভরত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হটিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কনভয় অবরোধ মুক্ত করে। সোমবার দুপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বাসে করে সন্দেশখালি যেতে গেলে তাদের সংযোগস্থলে গতিরোধ করে কলকাতা পুলিশ। সেখানে রাস্তায় বসে বেশ কিছুক্ষণ প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা ফিরে যান।