দিনেদুপুরে বাসে বন্দুক দেখিয়ে গুলি চালিয়ে ডাকাতি, জখম বাসচালক
নিজস্ব প্রতিনিধি,কোচবিহার: দিনেদুপুরে বাসে বন্দুক দেখিয়ে গুলি চালিয়ে ডাকাতি। জখম বাসচালক। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন যাত্রীদের। নবদ্বীপ থেকে কোচবিহারগামী বেসরাকারি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি। বাসের চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জিনিসপত্র লুঠ করল চার-পাঁচজনের একটি দুষ্কৃতীর দল। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন একজন। এই ঘটনার পরই এলাকায় যান মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ASP) সন্দীপ গড়াই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, তৃণমূলের যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারী সহ অন্যান্যরা।
রানাঘাট থেকে কোচবিহার অভিমুখে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বেসরকারি বাস আসছিল। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ পুণ্ডিবাড়ি ফালাকাটা জাতীয় সড়কের মাঝে(National High way) ঘোকসাডাঙ্গা হিমঘর চৌপতি এলাকা অতিক্রম করার পর রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটে। ফিল্মি কায়দায় বাসচালক(Bus Driver) সিটল গোপের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বাসের আরেক চালক অসিত পালকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেয়। তারপরই বাসে থাকা চার পাঁচটি ব্যাগ নিয়ে মাত্র কয়েকটি মিনিটের মধ্যেই সেখান থেকে নেমে ছুটে গাড়িতে করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন অসিত পাল। বর্তমানে তাঁকে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাসে উপস্থিত বাকি যাত্রীদের কোনও ক্ষতি করেনি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,ওই বাসে রুপো ব্যবসায়ী অরূপ কুণ্ডুর একটি পার্সেল(Parcel) আসছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যাত্রীরা। এছাড়া বাসযাত্রীদের অভিযোগ, দিনেদুপুরে এভাবে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে জেলাজুড়ে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং(Naka Checking) শুরু করেছে পুলিশ। যাত্রীদের একাংশ এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, জীবনে প্রথম এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হলাম। শূন্যেও গুলি ছোড়া হয়েছে। বাস কন্ডাক্টর নির্মল সরকার বলেন, ‘শূন্যে গুলি করে ডাকাত দল। চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই ঘটনা ঘটায় তারা।তবে গোটা ঘটনা সম্পর্কে ঘটনার কথা স্বীকার করলেও, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।