মধ্য রাত নয়, বিকাল ৪টে থেকেই সুন্দরবনে পা রাখছে রিমল
নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুমানের থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমল। অনুমান করা হচ্ছিল এদিন মধ্যরাতে সেই পা রাখবে স্থলভাগে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিকাল ৪টে নাগাদ সেই পা রাখতে চলেছে এপার বাংলার সুন্দরবনে। কিন্তু সেই মুহুর্ত থেকেই তার শক্তিও কমতে থাকবে এবং কমবে তার গতিও। প্রাথমিক ভাবে দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, Severe Cyclonic Storm হিসাবেই বাংলার জমিতে পা রাখতে চলেছে রিমল। তবে সুন্দরবনে একটি উচ্চচাপ বলয় এখন সক্রিয় থাকায় রিমল খুব দ্রুত গতিতে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘন্টায় ১৩৫ থেকে ১৫০ কিমি বেগে সে ভূমিস্পর্শ করলেও, দ্রুত তার গতি কমবে। তবে ঝড়ের গতিবেগ কমে গেলেও প্রবল থেকে প্রবলতর বৃষ্টির মুখে পড়তে চলেছে সুন্দরবন সহ দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়া জেলা। কলকাতায় ঘন্টায় ৯০কিমি বেগে এই ঝড় বয়ে যাবে রাত ৮টা নাগাদ।
স্থলভাগের দিকে দ্রুত বেগে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল। আর তার জেরে সুন্দরবনের বুকে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর ও নদী-খাঁড়িগুলি। এদিন সকালেও জানা গিয়েছিল যে, রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে বাংলাদেশের মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিমে আছড়ে পড়তে পারে রিমল। সে সময়ে তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সাময়িক ভাবে দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্তও। এখন সেই গতিবেগেই সে এপার বাংলার সুন্দরবনের দিকে বিকাল ৪টে নাগাদ ভূমিস্পর্শ করতে চলেছে সে। দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে প্রাপ্ত খবর, এদিন রাতের মধ্যেই সুন্দরবনের গভীরে প্রবেশ করবে রিমল। তারপর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর সে সোজা উত্তর দিকে এগোবে। তবে সুন্দরবনের ওপর এখন একটি উচ্চচাপ বলয় সক্রিয়া থাকায় কার্যত মাটিতে পা রেখেই যুদ্ধ করতে হবে রিমলকে। এই উচ্চচাপ বলয়ের জন্যই খুব দ্রুত গতিতে সে মূল ভূ-খণ্ডের ভেতরে আসতে পারবে না। বিকাল ৪টে নাগাদ তার ভূমিস্পর্শ হলেও কলকাতায় আসতে আসতে তার ভোড়-রাত হয়ে যাবে। দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়া হয়ে আগামিকাল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ সে ঢুকবে বাংলাদেশে।