লোকসভা ভোটযুদ্ধে মুখোমুখি দেব-হিরণ, লড়াইয়ের ময়দান ঘাটাল
নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে সকল জল্পনার অবসান! শেষমেশ ডিগবাজি খেলেন সুপারস্টার দেব(DEV)। মাস কয়েক ধরেই রাজনৈতিক অন্দরে জল্পনা চলছিল যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আর দাঁড়াচ্ছেন না সুপারস্টার দেব। তৃণমূলের সঙ্গে ১০ বছরের গাঁটবন্ধন শেষে করছেন দেব? এমনকী বাজেট অধিবেশনে অভিনেতার একটি পোস্ট বিষয় টিকে আরও উস্কে দিয়েছিল। জল্পনা এতদিন একপ্রকার জিইয়ে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই দেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সুতরাং এখানেই দুয়ে দুয়ে চার হয়।
রাজ্যের শাসকদল এত তাড়াতাড়ি সুপারস্টারকে ছাড়ছে না। এদিকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী নিজেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি আর রাজনীতি করবেন না, অভিনয়ে মনোযোগ দেবেন। ইস্তফা দিয়ে এসেছেন। তাই হল মিমির সিদ্ধান্তকেই গুরুত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর উপর আস্থা আর রাখলেন না। তা বলে দেবকে ছাড়লেন না। নিজের পুরোনো জায়গার ই প্রার্থী হলেন দীপক অধিকারী অর্থাৎ দেব। আজ তৃণমূলের ব্রিগেড সভায় ৪২ জন তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের হয়েই লড়বেন দেব। অপরদিকে এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি। কারণ ঘাটালের এবার বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। সুতরাং হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের জন্যে প্রস্তুত বিজেপি এবং তৃণমূল।
দুই পাকা খেলোয়াড় দেব-হিরণ। গত ২ মার্চ লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি৷ কয়েকদিন আগেও দেব রাজনীতি ছাড়ার খবরে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মত বদলেছেন দেব৷ তাঁকে পাশে নিয়েই প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দাবি নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন, সেই দাবি মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তারপরেই মত বদলান তারকা সাংসদ। যাই হোক, শুধু দেব নয়, তারকাদের মধ্যে তৃণমূলের আরও প্রার্থী হলেন, বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়, মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া, যাদবপুর থেকে লড়বেন সায়নী ঘোষ, যেখানে এতদিন সংসদ ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। আর মালদহ উত্তর থেকে প্রার্থী হলেন প্রাক্তন IPS অফিসার তথা অভিনেতা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, আর আসানসোল থেকে থেকে দাঁড়াচ্ছেন বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এবং শেষ গোলে ডিগবাজি খেলেন দেব। আর হুগলীতে লকেটের মুখোমুখি লড়বেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।