‘আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না, আরও কাজ করতে হবে’, কোচবিহারে বার্তা মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: উনিশের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটিও পায়নি তৃণমূল(TMC)। ৭টি গিয়েছিল বিজেপির দখলে, আর ১টি গিয়েছিল কংগ্রেসের দখলে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাঁদের আসনটি ধরে রাখতে সমর্থ হলেও বিজেপি(BJP) তাঁদের দখলে থাকা ৭টির মধ্যে ১টি আসন হারিয়েছে তৃণমূলের কাছে। আর সেই আসন হল কোচবিহার। সেখানে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু ভোটে হেরে তিনি এখন পরাক্তন হয়ে গিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। স্বাভাবিক ভাবেই নিশীথের এই পরাজয় রাজ্য রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিশীথের সেই পরাজয় এবং সেখানেই তৃণমূলের জয়ের পরে এই প্রথম উত্তরবঙ্গে পা রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গিয়েছিলেন তিনি কোচবিহারেও(Coachbehar)। সেখানে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়ে এসেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের সার্কিট হাউসে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও উদয়ন গুহ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়রা। সেখানেই মমতা জানিয়ে দেন, আগামী দিনে জেলায় দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই লড়াই করতে হবে। আত্মতুষ্টিতে ভুগলে হবে না। নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে আরও কাজ করতে হবে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাতেও যেন এমনই ভালো ফলাফল হয়। বিবাদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করায় আরও মনোযোগী হতে হবে সবাইকে। সামনে সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচন আছে। তার পর ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন। ভালো ফল করতে হবে। লোকসভা ভোটে জয়ের আনন্দে ভেসে গেলে হবে না। সূত্রের খবর, নেত্রী সকলের প্রশংসার পাশাপাশি উৎসাহ দেন। কোচবিহার জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে যাওয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের পক্ষে উৎসাহব্যাঞ্জক নিঃসন্দেহে।