রাজ্যের এক মন্ত্রীর পুত্রের ওপর নজরদারি শুরু ইডির
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও বসিরহাট: ইডি সিবিআই এর পাশাপাশি রাজ্যে সক্রিয় আয়কর দপ্তর। গত একুশে ফেব্রুয়ারি দমদমের এক স্কুল ব্যবসায়ীর বাড়ি ও একই ব্যক্তির মালিকাধীন সংস্থায় হানা দেন আয়কর কর্তারা। তল্লাশিতে ব্যাপক বেনিয়মের সঙ্গে ক্রিপ্ট কারেন্সির যোগ উঠে আসে। এই সূত্র ধরেই রাজ্যের এক মন্ত্রী পুত্রের সঙ্গে ওই সংস্থার লেনদেনের তথ্য এখন আয়কর দপ্তরের(Income Tax) হাতে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে আয়কর দপ্তর ওই কাগজপত্র ইডিকে পাঠিয়েছে। মন্ত্রী পুত্রকে তলব করতে পারে আয়কর দপ্তর। ইডি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ওই মন্ত্রী পুত্রের ওপর নজরদারি শুরু করেছে ইডি বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, তিনজন ইডি আধিকারিক বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে ল্যাপটপ প্রিন্টার মেশিন বেশকিছু নথি নিয়ে সাজাহানকে জেরা করার জন্য শনিবার দুপুরে প্রবেশ করেন।শেখ শাহজাহানকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা জেরা করার পর বসিরহাট উপ সংশোধনাগার থেকে ইডির(ED) আধিকারিকরা বেরিয়ে যান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তাঁরা।দেশের সরকারি অর্থ তছরুপ করে বিদেশে পাচার মামলায় প্রায় ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে । আরো ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার হদিস মিলছে বলে আদালতে জানালো ইডি। ইডির আইনজীবী শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আপিল করলেন শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করতে। সেই অনুমতিও আদালত থেকে পান ইডির আধিকারিকরা।
শনিবার সকালেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে (Bashirhat Court)ইডির ৫ জন আধিকারিক এবং ১ জন আইনজীবীর সাথে সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক ও ১ জন আইনজীবী হাজির হন। সিবিআইয়ের(CBI) পাশাপাশি ইডিও শেখ শাহাজাহানকে(Sk.sahazahan) নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু শেখ শাজাহান এখন বসিরহাট মহকুমা জেলে বিচারাধীন বন্দী আছেন।তাই ইডি কে সেখানেই গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলে বিচারক জানান। তবে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিবিআই এর পর এবার ইডি গ্রেফতার করল শেখ শাহজাহানকে।