কুন্তলের সূত্র ধরেই ED হানা চন্দ্রের গৃহে
নিজস্ব প্রতিনিধি: বীরভূম(Birbhum) জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল(Anubrata Mondol) এখন সকন্যা তিহার জেলে। এই অবস্থায় তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা হিসাবে সুপরিচিত তথা বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার(Chandranath Sinha) বাড়িতে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র হানা। বীরভূম জেলাত বোলপুর শহরের যে নীচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মন্ডলের বাড়ি সেই এলাকাতেই বাড়ি চন্দ্রনাথের। এদিন সকাল থেকে সেই বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। চলছে তল্লাশি। তবে সকালের দিকে বোলপুরের বাড়িতে ছিলেন না চন্দ্রনাথবাবু। রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দফতর এবং বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী তখন ছিলেন মুরারুইয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। যদিও বোলপুরের বাড়িতে ED’র হানাদারির খবর পেয়ে তিনি দ্রুত সেখান থেকে রওয়ানা দেন বোলপুরের বাড়ির পথে। সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে(School Teachers Recruitment Scam) ধৃত বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের(Kuntal Ghosh) সূত্র ধরেই এদিন ED’র হানাদারি চলছে চন্দ্রের বোলপুরের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, কুন্তলের বাসস্থানে ED যখন তল্লাশি চালিয়েছিল তখন একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও পাওয়া যায়। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ওই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে মনে করছেন ED আধিকারিকেরা। তাঁদের ধারনা, কুন্তল এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে এক জন মিডলম্যানও ছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেও চন্দ্রনাথের নাম উঠে এসেছে বলে খবর ED সূত্রে খবর। সেই সূত্র ধরেই এদিন ED আধিকারিকেরা চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছেন। যদিও চন্দ্রনাথের কথায়, কেন ED তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে, তা তিনি জানেন না। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি জানি না কেন ED আধিকারিকেরা আমার বাড়িতে হানা দিল। আমি খবর পেয়ে যাচ্ছি। আমাকে কোনও আগাম নোটিস দেওয়া হয়নি। আজ থেকে আমার ছেলের পরীক্ষা শুরু। আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার ছেলেই আমাকে ফোন করে বলে ED এসেছে। ED আধিকারিকেরা ফোন করে ডেকেছে। আমি যাচ্ছি।’