শুভেন্দুর ব্যাগ ভর্তি ভুয়ো ভোটারের তালিকা নাকচ করল কমিশন
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একাধিক ব্যাগ ভর্তি ভুয়ো ভোটার লিস্টের নামের তালিকার বিষয়টিকে নাকচ করে দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন,ইনকোয়ারি ছাড়া ভোটার লিস্ট থেকে কারো নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। ভোটার লিস্ট থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয় নিয়ে ডিএম রা একাধিকবার পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে বসবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। এজেন্সি গুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।সমস্ত রাজনৈতিক দল বলেছে যাতে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। কিছু অফিসার নিরপেক্ষ নয়। ট্রান্সফার পলিসি ঠিক ভাবে পালন করা উচিত নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচনে এবং নির্বাচনের পরবর্তী অবস্থায় যাতে ভায়োলেন্স না হয় তা কমিশনকে এনশিওর করতে হবে। অনেকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। অনেক বেশি সিসিটিভি (CCTV) লাগানো হোক বুথে। বেশি করে অবজারভার কাজে লাগানো হোক এবং তাদের ফোন নাম্বার পলিটিক্যাল পার্টিকে দেওয়া হোক, যাতে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। সিভিক(Civic) এবং গ্রীন পুলিশ যাতে কাজে লাগানো না হয় সে ব্যাপারে করা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের কথা এক দফায় নির্বাচন হোক।কোন ধরনের প্রভাবিত হবে না নির্বাচন।
ভোটার যাতে এই নির্বাচনকে festival হিসাবে নেয়। নিচু তলার যারা কর্মী রয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ডিএম- এসপি ও উচ্চপদস্থ অফিসারদের। আমরা শুধুমাত্র উঁচু তলার অফিসারদেরই কাছে জবাবদিহি চাইবো। এবার অনেক ইয়াং ভোটার্স অংশগ্রহণ করবেন। কমিশনার জানান, ৬.৫৭ লক্ষ ইয়ং ভোটারদের অংশগ্রহণ করবে।অন্তত ৫০ শতাংশ বুথের সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। কিছু মহিলা পরিচালিত বুথ থাকবে। সমস্ত বুথ গ্রাউন্ড ফ্লোরে হবে। যারা প্রতিবন্ধী মানুষ তাদের যদি ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে একটা বিশেষ ফর্ম ফিলাপ করলে বাড়ি থেকেই ভোট দেওয়া যাবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে এমন কোন ক্যান্ডিডেট তারা চয়েস করছে না যাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জেস রয়েছে। যদি এরকম কোন ব্যক্তিকে প্রার্থী করে থাকে তাহলে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সাধারণ মানুষ যেনো জানতে পারেন তাদের ক্যান্ডিডেট এবং তার পূর্ব পরিচয়।পশ্চিমবঙ্গের সীমানাবর্তী অঞ্চলে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিএসএফ(BSF) নারকোটিক(Narcotic)সহ বিভিন্ন এজেন্সিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে বিভিন্ন এজেন্সি কেও যথপোযুক্তি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টার বা বিশেষ বিমানকে বিভিন্ন জেলায় যাতে সঠিকভাবে নামাতে পারে সেই পারমিশন ডিএম দেবে।রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে ডিএম রেগুলার বৈঠক করবেন আমরা নির্দেশ দিয়েছি বলে নির্বাচন কমিশনার জানান। এসপি সহ উচ্চ পদস্থ পুলিশ অফিসারদের বলা হয়েছে থানা গুলোকে মেনটেন করতে নিচু তলার পুলিশ(Police) কর্মীদের কোন সমস্যা তারা যাতে না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি এটা না হয় তাহলে উচ্চপদস্থ অফিসারদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনজন পর্যবেক্ষক থাকবে। যদি কারোর আধার কার্ড না থাকে তাহলে কমিশনার নির্ধারিত আরো বেশ কিছু তথ্য রয়েছে বা ডকুমেন্ট রয়েছে তা দিয়ে ভোট দিতে পারবে।প্রচুর ফেক নিউজ(Fake Newz) হয় তার জন্য এআই ব্যবহার করা সিদ্ধান্ত। এবং এ বিষয়ে আইনগতভাবে একটি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তাও কমিশন দেখবে।যেভাবেই হোক এই নির্বাচন প্রভাব মুক্ত এবং স্বচ্ছ করার জন্য দায়বদ্ধ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার বলেন,আমরা সব রাজ্যে ঘুরছি। কত দফা নির্বাচন হবে এটা এখনো ঠিক হয়নি।
দুদিনের যে বৈঠক হয়েছে ডিএম -এসপি অন্যান্য আধিকারিক তাদের রেসপন্সিবিলিটি এটা সঠিকভাবে এই নির্বাচন করা। এটা তাদের দায়িত্ব। যদি এটা না হয় তাহলে নিশ্চয়ই দেখব বলে জানান কমিশনার। অনেক ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন সঠিকভাবে স্টেপ নেবে।কেন্দ্রীয় বাহিনী একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রাকটিস। কেন্দ্রীয় বাহিনী কি করবে সেটা যে নোডাল অফিসার থাকে তিনি ঠিক করবেন। যখন জেলায় যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) তখন ডিএম নির্ধারণ করবে কিভাবে তাদের ব্যবহার করা হবে।ইনকোয়ারি ছাড়া ভোটার লিস্ট থেকে কারো নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। ভোটার লিস্ট থেকে শুরু করে সমস্ত ও বিষয় নিয়ে ডিএমরা(DM) একাধিকবার পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে বসবে। নির্বাচন করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ তাদের দায়িত্ব। ভোট দিতে পারল না ভয় দেখালো ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই যাতে না হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেউ যদি দায়িত্ব থেকে নিজেকে এড়াতে চায় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব বলে কড়া ভাষায় কলকাতা ছাড়ার আগে কড়া বার্তা দেন নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার।