জিতলেন বিমানই, দেখলেন বোস, শপথ সম্পন্ন সায়ন্তিকাদের
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অবশেষে শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে শপথ নিলেন রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাদের শপথ বাক্য পাঠ করালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এটাই চেয়েছিলেন সায়ন্তিকারা। তাতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী রাজ্যপালের নির্দেশ অমান্য হল?
এদিন শেষ মুহূর্তে ডেপুটি স্পিকার আশিস প্রকাশ্যে জানান, তিনি শপথবাক্য পাঠ করাতে চান না। কারণ হিসাবে আশিস বলেন, যেখানে স্পিকার উপস্থিত আসে কোনও ভাবেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারব না। তাই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শপথ বাক্য পাঠ করালেন রেয়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। বলা বাহুল্য, এদিন বিধানসভার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল দুই জয়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথমে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি শপথে দায়িত্ব স্পিকারের হাতেই দিলেন।
তাতে প্রশ্ন উঠছে যেখানে রাজ্যপাল নিজের প্রতিনিধি হিসাবে ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেখানে কী করে এমন ঘটনা ঘটল? কেন ডেপুটি স্পিকার নিজে শপথ বাক্য পাঠ কারালেন না? তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যেহেতু বিধানসভা অধিবেশন চলছে, সেইজন্য রাজ্যপালের চিঠি মান্যতা পেল না। বলা বাহুল্য সংসদীয় নিয়ম অনুসারে, সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভায় স্পিকার অনুপস্থিত থাকলে ডেপুটি স্পিকার সেই দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু স্পিকার উপস্থিত থাকাকালীন তাঁর পরিবর্তে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণ পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু সিভি আনন্দ বোস সেই নিয়ম না মেনেই কার্যত একতরফাভাবেই ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দেন। আর তাতেই প্রথম থেকেই অনীহা প্রকাশ করেছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে শুক্রবার বিধানসভার স্পিকারের বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন ভগবানগোলা থেকে জয়ী রেয়াত হোসেন সরকার এবং বরানগর থেকে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।