For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেব দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করবেন ফিরহাদ

বাজে কদমতলা ঘাটে দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে তাঁর নির্দেশেই এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন ফিরহাদ হাকিম।
02:35 PM Nov 20, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেব দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করবেন ফিরহাদ
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাস্ট্রারস্ট্রোক নাকি নিজের উত্তরসুরিকে তুলে ধরার উদ্যোগ! প্রশ্ন ঘোরা শুরু হয়ে গেল জোড়াফুল শিবিরে। নেপথ্যে দেব দীপাবলি(Deb Dipabali) উৎসবের উদ্বোধন। কলকাতা পুরনিগমের(KMC) তরফে এবার ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাটে(Baje Kadamtala Ghat) পালিত হবে দেব দীপাবলি। বেনারসের মতোই সেখানে সেদিন প্রায় ১০ হাজার প্রদীপে সাজানো হবে গঙ্গার ঘাট। কলকাতা পুরনিগমের তরফে দেবোত্তর জয়চণ্ডী ঠাকুরানি ট্রাস্টকে এই উৎসব আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই উৎসবের আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ট্রাস্টটিও। আয়োজনের বিষয়ে যাবতীয় সহায়তা করছে কলকাতা পুরনিগম। প্রথম বার এই উৎসবের আয়োজনে যাতে কোনও খামতি না থেকে যায়, সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুরকর্তৃপক্ষ। এই উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁর আমন্ত্রণপত্রটি নবান্নে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে তাঁর নির্দেশেই এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)।

Advertisement

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন ফিরহাদের কাঁধেই এই গুরু দায়িত্ব তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা এই সিদ্ধান্তের পিছনে অনেক অঙ্ক কাজ করছে। ফিরহাদ বরাবরই মমতার ঘনিষ্ঠ ও তাঁর আস্থাভাজন। তাই শুধুমাত্র কলকাতার মেয়র বা রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে মমতা তাঁকে দেব দীপাবলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের জন্য পাঠাচ্ছেন না। ২৪’র ভোটের পরে মমতাকে জাতীয় স্তরে কোনও গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হলে তাঁকে স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে, পরবর্তী মুখ্যমন্তড়ী তাহলে কে হবেন। অভিষেক একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না। দলকে সারা দেশে বিস্তার করাই তাঁর লক্ষ্য। যদি শেষ পর্যন্ত তিনি এই অবস্থানেই দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে কার ঘাড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদের গুরু দায়িত্ব মমতা তুলে দেবেন সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়। আর এখানেই এগিয়ে থাকছেন ও থাকবেন ফিরহাদ। আর সেটাও শুধুমাত্র মমতার ঘনিষ্ঠ হিসাবে নয়। তাঁর নিজের ব্যক্তিত্ব, ব্যক্তি ক্যারিশ্মার জোরে। সঙ্গে এটা ভুললেও চলবে না এখন রাজ্যে রাজ্যপাল, মমতা, আর অভিষেকের পরে সব থেকে বেশি নিরাপত্তার বহর থাকে ফিরহাদের সঙ্গেই। 

Advertisement

মুসলিম ঘরের ছেলেও হলেও ফিরহাদ বাংলার একমাত্র সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ধর্মের বেড়াজাল টপকে মমতার দেখানো পথে সফল ভাবে হাঁটা দিতে পেরেছেন। তিনি রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের কাছে যতটা গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়, ঠিক ততটাই রাজ্যের হিন্দুজন সমাজের কাছেও। চেতলা অগ্রনীর পুজোর সঙ্গে তিনি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ফিরহাদ নিজে কোনওদিন মুসলিম নেতা হয়ে উঠতে চাননি, বরঞ্চ সকলের ‘ববিদা’ হয়েই থাকতে চেয়েছেন। পেরেওছেন। রাজ্যের কোনও মানুষ বলতে পারবে না তিনি শুধু মুসলিমদেরই নেতা, হিন্দুদের নয়। আর এই কারণেই রাজ্যের শাসক দলের তাবড় তাবড় সংখ্যালঘু নেতা যা পারেননি, ফিরহাদ সেটাই করে দেখিয়েছেন। মুসলিম ঘরের ছেলে হয়েও তিনি হিন্দুদের ঘরের ছেলে হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের নেতা হয়ে গিয়েছেন। এই নেতাই তো যথার্থ ভাবে দেব দীপাবলীর উদ্বোধনের ধারভার রাখেন যা রাজ্যে সৌভাতৃত্ব আর একতার বার্তা তুলে ধরবে। রাজ্যকে আগামী দিনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে। অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। তাই সব ভেনেই মমতার এই পদক্ষেপ। সঙ্গে এটা ভুললেও চলবে না এখন রাজ্যে রাজ্যপাল, মমতা, আর অভিষেকের পরে সব থেকে বেশি নিরাপত্তার বহর থাকে ফিরহাদের সঙ্গেই। 

Advertisement
Tags :
Advertisement