For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মমতার বাংলায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে ৯৪৯ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ

২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর এই সময়সীমায় বাংলায় ৯৪৯ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে।
09:43 AM Mar 17, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মমতার বাংলায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে ৯৪৯ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় বাংলা(Bengal) ছিল বনধের বাংলা। কথায় কথায় বনধ। আর সেই সব বনধ হতো খোদ শাসক দলের নির্দেশে। নষ্ট হতো কর্মদিবস। ধাক্কা খেত রুটিরুজি। থমকে যেত স্বাভাবিক জনজীবন। সেই ছবিটাই আমূল বদলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা পরিবর্তনের কান্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলার ভাবমূর্তি আবারও উজ্জ্বল হচ্ছে বিশ্বের দরবারে। বাংলা এখন তাই বিশ্ববাংলা। তাই বাংলার বুকে এখন প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ আসার পরিমাণও ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সরকারি তথ্য বলছে চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর এই সময়সীমায় বাংলায় ৯৪৯ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। শুধু তাই নয়, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে বাংলায় আসা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০৫০০ কোটি টাকা। এই তথ্য রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য নয়, যে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিরোধীরা বিশেষ করে বিজেপির নেতারা প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এই তথ্য কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারের দেওয়া।

Advertisement

আসলে শিল্প শিল্প করে চেঁচালেই শিল্প চলে আসে না। প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ যাকে অনেকেই Foreign Direct Investment বা FDI বলে চেনেন, জানেন, সেটাও আসে না। এই প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ তখনই আসে যখন বিশ্বের দরবারে কোনও রাজ্যের ভাবমূর্তি শিল্পবান্ধব হিসাবে উঠে আসে। বাম-বিজেপি তো বটেই প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং তাঁর পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ‘শিল্প বিরোধী’ হিসাবে তকমা দিয়েছে সিঙ্গুর থেকে টাটারা চলে যাওয়ায়। কিন্তু দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মমতাই পেরেছেন, তাঁর পরিচালিত সরকারই পেরেছে বিরোধীদের যাবতীয় অপপ্রচার, কুৎসা, ষড়যন্ত্র ছিন্নভিন্ন করে বিশ্বের দরবারে বাংলাকে যথাযথ ভাবে তুলে ধরে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে। আর তার জেরেই এসেছে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ। খোদ কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক(Union Ministry of Commerce) বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই ৪ বছরে বাংলায় আসা প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১০৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসেই বাংলায় এসেছে ৯৫০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ। 

Advertisement

মজার কথা গত বছর অর্থত ২০২৩ সালের প্রায় পুরোটাই বিশ্ব অর্থনীতি এক মারাত্মক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল। যার জেরে বিশ্বজুড়ে সব দেশ, এমনকি এদেশের প্রায় সব রাজ্যেই ধাক্কা খেয়েছিল প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ। অথচ ঠিক তার উল্টো ছবি বাংলার বুকে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকই জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে পরপর তিনটি অর্থবর্ষে বাংলার বুকে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এমনকি গত বছরের ওই বিশ্বজোড়া অর্থনোইতিক মন্দার মধ্যেও বাংলায় শেষ ৯ মাসে প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র এই কারণেই যে, বিশ্বের দরবারে বাংলার ভাবমূর্তি ‘শিল্পবান্ধব’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার। সেখানে বিরোধীদের ‘শিল্প বিরোধী’ তকমা যেমন কোনও কাজ দেয়নি, তেমনি সিঙ্গুর থেকে টাটাদের চলে যাওয়াও কোনও ছাপ ফেলেনি।

নরেন্দ্র মোদির সরকারের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছিল ৩,১১৮ কোটি টাকার। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কিছুটা বেড়ে হয় ৩,১৯৫ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে সেই হিসেব পৌঁছয় ৩,২১৭ কোটি টাকায়। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বাংলায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ এসেছিল ১,৪০৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ কয়েক বছর আগের হিসেবের দিকে তাকালেই স্পষ্ট, বিগত ৩টি অর্থবর্ষে বিদেশি লগ্নি টানার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েছে বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের গোড়া থেকে দেশে কোভিড বড় রকমের প্রভাব ফেলতে শুরু করে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে সংক্রমণের থাবা পড়েছিল তার আগে থেকেই। তারপরেও বাংলার অগ্রগতি ঘটেছে এ রাজ্যের বুকে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে। দেশে এখন প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে বাংলার স্থান দশম। প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও মোদির গুজরাত। মমতার কিন্তু লক্ষ্য এই তালিকাতেও বাংলাকে সর্বোচ্চ স্তরে তুলে আনার। সেই চেষ্টা তিনি এবং তাঁর সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা।

Advertisement
Tags :
Advertisement