চুরি করতে এসে গণধর্ষণ ৪৮ বছরের মহিলাকে, গ্রেফতার ২
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার(Purba Burdwan District) দক্ষিণ সদর মহকুমার(South Burdwan Sub Division) মেমারিতে(Memari)। শুক্রবার মাঝরাতে নাতনির সামনেই তার দিদিমাকে গণধর্ষণ(Gangrape) করেছে বাড়িতে চুরি করতে আসা দুই দুষ্কৃতী। পরে পালাবার সময় তারা পড়ে পুলিশের খপ্পরে। দুইজনের মধ্যে ১জন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও অপরজন পালিয়ে যায়। পরে সেই পলাতক দুষ্কৃতীকে পুলিশ নিমো থেকে গ্রেফতার করে। নিগৃহীতা মহিলাকে এদিন অর্থাৎ শনিবার নিয়ে আসা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আগামিকাল রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে। তবে এই ঘটনার জেরে সব থেকে বড় প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনা কী নিছকই ঘটে গিয়েছে, নাকি তা ঘটানো হয়েছে! পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার জেরে মেমারি শহরের বুকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ১২ বছরের নাতনির সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন বছর ৪৮-এর মহিলা। মধ্যরাতে বাথরুম যাওয়ার জন্য তিনি বাইরে বের হন। অভিযোগ, সেই সময় মুখ বাঁধা অবস্থায় ২ দুষ্কৃতী তাদের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, এরপর তাঁর হাত চেপে ধরে অভিযুক্তরা। দিদার চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় নাতনির। তার সামনেই প্রৌঢ়াকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর গোটা বাড়িতে লুটপাট চালায় ২ দুষ্কৃতী। লুটপাট চালিয়ে সেই বাড়ি থেকে বার হতেই পুলিশের নজরে পড়ে যায় ২জন। পুলিশকে দেখেই রেল লাইন ধরে ছুটতে শুরু করে এক দুষ্কৃতী। অপর একজন ঝাঁপ দেয় পাশের পুকুরে। পুলিশ এসে পুকুর থেকে ওই দুষ্কৃতী টেনে বের করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সন্ধান মেলে অপর অভিযুক্তের। তাকে নিমো থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার জেরে এদিন নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, ‘রাত্রিবেলা উঠেছিলাম বাথরুম যাব বলে। সেই সময় দেখছি ছেলেগুলো আমাদের রান্নাঘরে ঢুকে গিয়েছে। এরপর বটি নিয়ে আমার হাত চেপে ধরে ওরা। বলল চিৎকার করলেই গলা কেটে দেব। এরপর আমার নাতনির সামনেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। বাড়ির দুটো মোবাইল নিয়ে যায়।’ ঘটনার জেরে এখন অনেকেরই ধারনা এই ঘটনা কেউ ঘটিয়েছে ওই মহিলা বা পরিবারের মানসম্মাণ ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই। কিংবা তাদের ভয় দেখিয়ে কোনই উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য। ঘটনার তদন্তে নামা পুলিশ আধিকারিকেরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজী না হলেও প্রাক্তন পুলিশ কর্মীদের অভিমত, ঘটনাটকে খুব হালকা ভাবে ডাকাতির রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল মহিলার সর্বনাশ সাধন। আর এই ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে পুরোটাই পরিকল্পিত।