OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

সংসার খরচ থেকে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, ভরসা লক্ষীর ভাণ্ডার

বাংলার নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সংসার চালানো এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
10:24 AM Dec 18, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মূল ভোট-প্রতিশ্রুতিই ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার(Lakhir Bhandar)। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তিনি তা কার্যকর করেন। এখন বাংলার ২ কোটি’রও বেশি মহিলারা মাসে মাসে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০ বা ৫০০ টাকা করে পান। কিন্তু অন্ধ মমতা বিরোধীরা তা নিয়ে সমালোচনা করতেও ছাড়ে না। তাঁরা এই প্রকল্পের টাকাকে ‘ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে’ বলেও কটাক্ষ হানতে ছাড়েন না। কেউ কেউ আবার বলেন রাজ্যের মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক কব্জা করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যদিও এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর বাংলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির যে একটা বদল এসেছে, তা সরকারের পক্ষ থেকে বহুদিন ধরেই যেমন দাবি করা হচ্ছে তেমনি নানা বেসরকারি সংস্থার তরফেও তা দাবি করা হয়েছে। এবার সেই দাবিকে আরও মান্যতা দিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) Pratichi India Trust।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কতটা উপকার হয়েছে বাংলার সাধারণ মানুষের? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার Pratichi India Trust-কে দিয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচীর সমীক্ষা(Survey) করিয়েছিল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, বাংলার নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সংসার চালানো এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। খুব কম ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত কাজের পিছনে এই অর্থ খরচ করছেন গ্রামগঞ্জ-শহরতলি কিংবা শহরের মহিলারা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ৭টি দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে ৮.১০ কোটি পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে চলছে অষ্টম দুয়ারে সরকার শিবির। এই আবর্তেই প্রকাশিত হয়েছে অমর্ত্য সেনের Pratichi India Trust-কে দিয়ে করানো সমীক্ষার রিপোর্ট। তাতেই দেখা যাচ্ছে, দুয়ারে সরকারের মূল অভিমুখই হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের ১১টি জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরে আসা মানুষের মধ্যে ৮৯.৫ শতাংশই এসেছিলেন এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে। আর সেই টাকার বেশিটাই খরচ হয়েছে প্রয়োজনে, ভোগ্যপণ্যে নয়।

রাজ্যের অর্থনীতিবিদদের একাংশের দাবি, মহিলাদের হাতে আর্থিক সহায়তা পৌঁছলে তা ভালো কাজে খরচ হয়। আসলে পুরুষদের থেকে মহিলারা সংসার নিয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল। ফলে সামান্য অভাব থাকলেও তাঁরা সেটা যে কোনও প্রকারে মিটিয়ে সকলের মুখে হাসি দেখতে চান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, অনেক উপভোক্তার ছেলেমেয়েই First Generation Learner। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যিনি প্রাপক তাঁর ছেলেমেয়েরাই সেই বংশের প্রথম সন্তান যারা স্কুলে যাচ্ছে ও পড়াশোনা করছে। ফলে এই পরিবার বা মহিলারা মনে করছেন যে, ৫০০ বা ১০০০ টাকা দিয়ে একটা প্রাইভেট টিউশন নিলে তাঁদের ছেলেমেয়েদের কাজে লাগবে। তাঁরা আর একটু ভালো ভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে।

শুধু তাই নয়, সমীক্ষার রিপোর্ট কার্যত স্পষ্ট করেছে যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং দুয়ারে সরকার শিবির বাড়ির মহিলাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বাড়িয়েছে। মানুষ নিজেদের নাগরিক অধিকার সম্পর্কেও সচেতন হয়েছেন। উল্লেখ্য এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা খরচ করছে। অষ্টম দুয়ারে সরকার কর্মসূচী শেষ হলে আরও অন্তত ৬ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। ফলে তখন রাজ্যের খরচও এই প্রকল্পের জন্য আরও বাড়বে।

Tags :
Amartya SenLakhir BhandarMamata BanerjeePratichi India TrustSurvey.
Next Article