মিষ্টি জলের অভাব! গাজায় নোনা জলই একমাত্র ভরসা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার অপর নাম মৃত্যুপুরী।এই দেশের নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কে থাকে। এই বুঝি কারোর মৃত্যুযন্ত্রণার চিৎকার ভেসে এল। ইজরায়েলের ক্রমাগত হামলায় গাজার মাটি থেকে শুরু করে আকাশও বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে গেছে গাজার আকাশ। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে ৪ লক্ষ ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
একে তো গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ। তার উপর তীব্র জলসংকট। গাজার ছোট ছোট শিশুরা লাইনে দাঁড়িয়ে জলটুকু পাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে। কিন্তু সমাধান নেই। খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। একদিকে রয়েছে জলের তীব্র সংকট। অন্যদিকে বেঁচে থাকার লড়াই। কোনরকম বেঁচে থাকার তাগিদে হাজার হাজার পরিবার এখন সাগরের নোনা জল ব্যবহার করতে শুরু করেছে। একমাত্র নোনা জলই এখন ভরসা তাঁদের।
এর কারণ হিসেবে, উত্তর গাজা ইমার্জেন্সি কমিটি জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকার সমস্ত কূপ ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই জলের অভাব দেখা দিয়েছে। এতটাই জলের অভাব যে সাগরের নোনা জলই খাওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকও সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ট্রাকে করে খাবার এবং বিশুদ্ধ জল নিয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে গাজায় শিশুরা অপুষ্টি এবং জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য শেষ সম্বল জলটুকুও পাচ্ছে না তাঁরা।বারবার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। আর তাতেই গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ সহায়তায় পৌঁছেছে না। এই কঠিন পরিস্থিতিতে গাজার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে ত্রান সংস্থা। ফলে একদিকে খাবার নিয়ে ত্রাণবাহী গাড়ি অপেক্ষা করছে ততক্ষণে তীব্র খিদের জ্বালায় ছটফট করছে গাজার নিরীহ শিশুরা। শুধু শিশু নয় নারী, পুরুষ এবং বয়স্ক লোকজনদেরও অনাহারে থাকতে হচ্ছে।