তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত অনন্ত মহারাজের সংগঠনের আদি নেতাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: প্রথম দফার ভোটের আর বাকি মাত্র ১০ দিন। তার আগেই কার্যত উত্তরবঙ্গে বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। কেননা, দলের সাংসদ অনন্ত মহারাজ যে সংগঠনের মাথায়, সেই সংগঠনের আদি নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কথার খেলাপ করারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’ (জিসিপিএ) আড়াআড়িভাবে বিভাজিত হওয়ায় রাজ্যের শাসকদলের ফায়দা তোলার সম্ভাবনা বেড়ে গেল।
গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে সরাসরি বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছিল রাজবংশীদের সংগঠন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। ওই সমর্থনের প্রতিদান হিসেবে সংগঠনের সভাপতি অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার সদস্যপদ ‘ভেট’ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। যদিও বৃহত্তর কোচবিহার নিয়ে আলাদা রাজ্য গঠন সম্ভব নয় বলে জিসিপিএ’র সভাপতিকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। আর তাতেই বিজেপি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে জিপিসিএ নেতাদের একাংশের।
সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন লক্ষ্মীকান্ত বর্মণ, পবিত্র বর্মণ, নীপক বর্মণ। নিজেদের জিসিপিএ’র ‘আদি’ নেতা বলে পরিচয় দিয়ে দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে রাজবংশীদের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। সেই কারণে এ বারের ভোটে তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে লক্ষ্মীকান্ত-পবিত্র বর্মনরা অভিযোগ করেন, ‘মোদি সরকার রাজবংশীদের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি।’ যদিও লক্ষ্মীকান্তদের জিসিপিএ’র নেতা হিসেবে মানতে রাজি হননি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। সাংবাদিকদের তিনিও বলেন, ‘যাঁরা শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, তাঁরা গ্রেটার কোচবিহারের কেউ নন। তাদের অনেক আগেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই বংশীবদন বর্মণের নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন আসন্ন লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থি জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল।