For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

সিকিমে আটকে পড়া বাংলার পর্যটকদের জন্য Helpline চালু নবান্নের

রংপোতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সিকিমে আটকে পড়া এ রাজ্যের পর্যটকদের জন্য খোলা হয়েছে Help Desk। চালু করা হয়েছে ২টি Helpline-ও।
11:21 AM Jun 15, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
সিকিমে আটকে পড়া বাংলার পর্যটকদের জন্য helpline চালু নবান্নের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: লাগাতার বৃষ্টি আর ধসের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম(North Sikkim)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা দেশেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সিকিমে আটকে পড়া এ রাজ্যের পর্যটকদের(Tourists from West Bengal) জন্য Helpline চালু করল নবান্ন(Nabanna)। কালিম্পঙের জেলাশাসকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, পূর্ব সিকিম জেলার রংপোতে পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ তদারকির জন্য তৈরি হয়েছে একটি Help Desk। সেই ডেস্কের দুই আধিকারিক রবি বিশ্বকর্মা এবং পুষ্পজিৎ বর্মণের মোবাইল নম্বরও রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। নবান্নের হিসাব অনুযায়ী উত্তর সিকিমে এখন আটকে রয়েছেন এ রাজ্যের হাজারের বেশি পর্যটক। আটকে পড়া পর্যটকদের কী ভাবে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব, আপাতত তাই নিয়েই কেন্দ্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে রাজ্যের। রংপোতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে যে Help Desk চালু করা হয়েছে সেখানকার ২টি Helpline নম্বর হল – ৮৭৬৮০৯৫৮৮১ ও ৯০৫১৪৯৯০৯৬। প্রথম নম্বরটি রবি বিশ্বকর্মার ও দ্বিতীয়টি পুষ্পজিৎ বর্মণের।

Advertisement

সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গন এবং চুংথাংয়ের সংযোগকারী বেইলি সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। ধসের জেরে বহু রাস্তা বন্ধ। বহু বাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল শুরুর দিকে। তবে ধীরে ধীরে সেই সমস্যা মিটছে। আটকে পড়া পর্যটকেরাও সুস্থই রয়েছেন। আবহাওয়া ভাল হলে যাতে তাঁদের বিমানে উদ্ধার করা যায়, তার জন্যই ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সড়কপথেও কী ভাবে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব, তা-ও দেখা হচ্ছে। এদিকে পাহাড় থেকে প্রবল বেগে জল নামছে তিস্তা দিয়ে। আর তার জেরে কেন্দ্রের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে। সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জেরে শুক্রবার রাতের পর থেকে সমতলে তিস্তায় জল বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সেই মতো জলপাইগুড়ি প্রশাসন থেকে তিস্তার দু’পারে নজর রাখতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। তিস্তার জল কতটা বাড়ছে তাতে নজরদারি করছে রাজ্যের সেচ দফতর। সেবক থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তার নদী বাঁধে ক্ষতি হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে জল না কমলে কতটা ক্ষতি, তা বোঝা যাবে না।

Advertisement

শুক্রবার মেখলিগঞ্জে বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে বইছে তিস্তা। সেচ দফতর সূত্রের খবর, যে জল এখন পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসছে সঙ্গে পলি নিয়ে আসছে। তিস্তা নদীখাত আরও উঁচু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গজলডোবা ব্যারাজ থেকে এ দিনও জল ছাড়া হয়েছে। সিকিমের জল পুরোপুরি এসে পৌঁছলে এদিন অর্থাৎ শনিবার থেকে জল ছাড়ার মাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে বলে দাবি ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের। সিকিমের পরিস্থিতির জেরে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বলে দিয়েছে কালিম্পঙের জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement
Tags :
Advertisement