বাড়িতেই ভোটকেন্দ্র তবুও ভোট দিতে হয় পোস্ট বক্সে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাড়িতেই ভোটকেন্দ্র, অথচ ভোট দেওয়ার জন্য বাইরে যেতে হয়! এমন শুনলে কে না অবাক হবে! তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ব্রিটেনের নর্দাম্পটনশায়ারের উইনউইকে বাস করেন থমাস জুন। বয়স প্রায় ৮০ বছর। তাঁর বাড়িটিই ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অথচ তিনি তাঁর নিজের বাড়িতে ভোট দিতে পারেন না।
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তাঁর বাড়িটি দেশটির সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজের বাড়িতে ভোটকেন্দ্র এর থেকে সুবিধা আর কি হতে পারে। কিন্তু তিনি পায়ে হেঁটে গ্রামের একটি পোস্ট বক্সে তাঁর ভোট মেইল করেন।
থমাস জুন যেখানে বসবাস করছেন সেটি হল পুরোপুরি বাড়ি নয়,একটি পুরনো স্কুল। চার্চ রোডে অবস্থিত ওই ওল্ড স্কুল হাউজেই তিনি ৫৪ বছর ধরে বসবাস করছেন। ওই স্কুলই ভোটকেন্দ্র হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই নিয়ে থমাস জুন জানিয়েছেন, একটি স্থানীয় কাউন্সিলে ভোটকেন্দ্রের ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। নির্বাচনের দিনে সব কাজ শেষ করে তার পক্ষে নিজের এলাকায় গিয়ে ভোট দেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে তিনি একবার পোস্ট বক্সেই ভোট দিয়েছিলেন। পোস্ট বক্সে ভোট মেইল করেছিলেন তিনি।তিনি আরও জানান, এটা শুনতে খুব অদ্ভূত। কিন্তু তিনি পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে থাকেন। তাঁর বাড়িতে ভোটকেন্দ্র থাকা স্বত্তেও তিনি এখানে ভোট দিতে পারেন না। অনেকের কাছে এটি হাস্যকর মনে হতে পারে।
কিছুক্ষণ আগেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খোশমেজাজে ভোট দিয়েছেন ঋষি সুনাক। হাসিমুখে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছিল তাঁদের দুজনকে। তবে ভোটকেন্দ্রে ঋষি সুনাককে বেশ খুশি মনে হলেও বিশ্লেষকরা জানিয়েছে, ক্ষমতা হারানোর চাপে আছেন তিনি ও তাঁর দল। তবে পূর্বাভাস বলছে, নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের ক্ষমতার এবার ভেঙে রেকর্ড তৈরি করতে পারে লেবার পার্টি।