হাওড়া পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারল মাধ্যমিক ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া: পুলিশের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারলো এক মাধ্যমিক ছাত্রী। মঙ্গলবার ছিল মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে এসে মনে পড়লো এডমিট কার্ড বাড়িতে ফেলে এসেছে ভুল করে। ঘুসুড়ি ভুত বাগানের পরীক্ষার্থী ফতেমা খাতুন(Fatema Khatun)। তার সিট পরেছিল বেলুড় হাইস্কুলে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বড় ভুল। যদিও ওই ছাত্রীর মনোবল এতটুকু নষ্ট হতে দেননি বালি ট্রাফিক গার্ডের এ এস আই শঙ্কর গোস্বামী। তিনি তরিঘড়ি করে ওই ছাত্রীকে নিজের মোটরসাইকেলে চাপিয়ে সোজা চলে যান ছাত্রীর বাড়ি। তারপর বাড়ি থেকে এডমিড কার্ড(Admit Card) নিয়ে আবার পরীক্ষা হলে নিয়ে আসেন। ছাত্রীটি পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি। ছাত্রীর পরিবার শঙ্কর বাবুকে অনেক ধন্যবাদ জানায়।
তারা বলেন, পুলিশ মানবিক না হলে তাদের মেয়ে মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হতো। এদিকে ভাইয়ে ভাইয়ে গন্ডগোলের জেরে ভুক্তভোগী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় সমস্যায় পরীক্ষার্থী। হ্যারিকেনের আলোতেই কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের(Matangini Block) বাড়ধূর্পা গ্রামের ঘটনা। বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোন কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত দীর্ঘদিন ধরে। আর এই গন্ডগোলের জেরই গত ৩১শে জানুয়ারি রাত্রে বেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী(Madhyamik Candidate) ছাত্রীর পরিবারের। পরীক্ষার সময়ে এই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় খুবই সমস্যায় ওই ছাত্রীটি। বিদ্যুৎ না থাকায় তার পড়াশোনায় খুবই ব্যাঘাত ঘটছে। হারিকেনের আলোতে পড়তে তার খুবই সমস্যা হচ্ছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মন্ডল জানান বিল মেটানো থাকলে কোনভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। এই ব্যাপারে যাতে অতি শীঘ্র বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে তিনি দপ্তরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন।