For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ হাইকোর্টের মহিলা বিচারপতির স্বামীর, ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা হাইকোর্টের এক মহিলা বিচারপতি ও তাঁর স্বামীর ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। দিয়ে দিল অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য CID তদন্তের নির্দেশ।
10:25 AM Nov 07, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
মামলায় অবৈধ হস্তক্ষেপ হাইকোর্টের মহিলা বিচারপতির স্বামীর  ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) কড়া নজরে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) এক মহিলা বিচারপতির(Women Justice) স্বামী, যিনি নিজেও পেশায় কলকাতা হাইকোর্টেরই আইনজীবী(Lawyer)। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম দ্বারে অভিযোগ জমা পড়েছে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। আর সেই কারণেই ওই মামলার গতিও রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলারই বাসিন্দা ৬৪ বছরের এক বিধবা(Widow) এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর তার জেরে সুপ্রিম কোর্ট গোটা ঘটনার CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে এরাজ্যের গোয়েন্দা আধিকারিককে সুপ্রিম কোর্টের সাফ নির্দেশ, ‘ভয়ডরহীন ভাবে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যান’। একই সঙ্গে তদন্ত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামে তদন্তের রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এলভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মূল মামলাকারী ওই বিধবার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিরোধ শুরু হয় একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে। ওই মহিলার তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করার জন্য বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়। ওই বিধবার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বৃদ্ধাকে যে মারধর করা হয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভিতে। এর প্রেক্ষিতে ওই বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী তদন্তকারীদের ওপর বেআইনি ভাবে প্রভাব খাটান বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিধবা। অভিযোগ, দুটি মামলার তদন্ত যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তার সব রকম চেষ্টা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের মহিলা বিচারপতির স্বামী। ফলস্বরূপ, ওই দুটি মামলার তদন্তপ্রক্রিয়াই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়। বিচারপতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।

Advertisement

এরপরেই আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা আর্জি জানান, আইনজীবী কিংবা তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর প্রভাব ছাড়াই দুটি ফৌজদারি অভিযোগের যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত হয়, তার নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। তদন্ত নিশ্চিত করার নির্দেশও চেয়েছিলেন। আবেদনে এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তদন্তের গতি রুদ্ধ হয়েছে। হলফনামায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে এক বার ডেকে তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি নাকি বলেছেন, ওই দুটি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে? মামলাকারীর আবেদনে প্রার্থনা জানানো হয়েছে, শীর্ষ আদালত যেন বিচারপতি এবং আইনজীবী স্বামীকে ওই কাজের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, মামলাকারীরা পর্যাপ্ত পুলিশি সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

সব শুনে সুপ্রিম কোর্ট গোটা ঘটনার CID তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে, নতুন করে CID তদন্তের ওপর যদি কলকাতা হাইকোর্টের ওই মহিলা বিচারপতি এবং তাঁরা স্বামী ফের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন তাহলে তা যেন সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়। সেই সঙ্গে বাংলার CID আধিকারিকদের নির্ভয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করেন ও ডিসেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামে সেই তদন্তের রিপোর্ট যেন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন। উল্লেখ্য, বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিকালে বা রায়দানকালে বিচারপতিদের একাংশের কিছু মন্তব্য ও সিদ্ধান্তের ঘটনায় আগে থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সব ঘটনায় রাজ্যের তরফেও সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এবার এই ঘটনা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে কলকাতা হাইকোর্টের সব সিদ্ধান্ত, মন্তব্য ও পদক্ষেপ সঠিক নয়। অন্তত এমনই অভিমত আইনজীবী মহলের।

Advertisement
Tags :
Advertisement