For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

২ জেলায় দুয়ারে শিবিরে বাড়তি নজর জনজাতি গ্রামে

দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে। থাকছে ভ্রাম্যমান শিবিরের ব্যবস্থাও।
04:38 PM Dec 16, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
২ জেলায় দুয়ারে শিবিরে বাড়তি নজর জনজাতি গ্রামে
Courtesy - Google and Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বুকে শুরু হয়ে গিয়েছে অষ্টম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার(Duare Sarkar) কর্মসূচী। তাতেই এবার বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে(OBC and Tribal Village)। এই গ্রামগুলিতে পাঠানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ শিবিরও(Moving Camps)। রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) ও ঝাড়গ্রাম(Jhargram), এই দুই জেলাতে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামের সংখ্যা সব থেকে বেশি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে এই দুই জেলাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গ্রামের সংখ্যা ৪,৯১৪টি। এর মধ্যে জনজাতি অধ্যুষিত গ্রাম ১,৩১৬টি। আবার ঝাড়গ্রাম জেলায় জনজাতিদের গ্রাম রয়েছে ৬৯৬টি। এই সব গ্রামে এবার দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজন করা হচ্ছে।

Advertisement

যে সব গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি বাসিন্দা জনজাতিভুক্ত, সেই গ্রামগুলিকেই সরকারি ভাবে জনজাতিদের গ্রাম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুটি জেলারই ওই সব গ্রামে ভ্রাম্যমাণ দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রশাসনের কর্মীরাই পৌঁছে যাবেন এই সব গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে। সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র দেবেন। জমাও নেবেন। যার যে প্রকল্পের আবেদনপত্র প্রয়োজন, তাঁকে সেই প্রকল্পের আবেদনপত্র দেওয়া হবে। আবেদনপত্র পূরণে সাহায্যও করা হবে। ওই সব গ্রামের কতজনের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে, কতজনের পাওয়া উচিত, কতজন পেয়েছেন, ইতিমধ্যে এ সব খতিয়ে দেখা হবে। যাদের কাছে ওই শংসাপত্র থাকা উচিত, কিন্তু এখনও নেই, তাঁদের ওই শংসাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবেদনপত্র নিয়ে টোটোর মতো যানে করে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবেন সরকারি কর্মীরা।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার সবমিলিয়ে প্রায় ৫,৭০০টি শিবির হওয়ার কথা। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ শিবির প্রায় ১,৬০০টি। সবমিলিয়ে ৩৬টি পরিষেবা পাওয়ার আবেদন জানানোর সুযোগ থাকছে। ঝাড়গ্রাম জেলাতে দুয়ারে সরকারের ২৩৬৫টি শিবির করা হচ্ছে। ২২৬টি এলাকায় বাড়তি শিবির করা হচ্ছে। বিশেষ করে জনজাতি এলাকায় বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ৪৭০টি ভ্রাম্যমাণ শিবির হবে। দুই জেলাতেই বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে লোধা-শবর অধ্যুষিত এলাকায়। কিন্তু জনজাতি গ্রামগুলিতে বাড়তি নজর কেন? আসলে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট(General Election 2024)।

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, লোকসভা ভোটের আগে ‘পিছিয়ে পড়া’ গ্রামের মানুষের অভাব- অভিযোগ দূর করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। তাঁদের কাছে যাবতীয় সরকারি সুযোগ পৌঁছে দিতে চাইছেন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের(Jungalmahal) ৫টি লোকসভা কেন্দ্রই গিয়েছিল বিজেপির দখলে। কিন্তু একুশের ভোটে সেই জঙ্গলমহলের মাটি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল(TMC)। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটেও জঙ্গলমহলের  জনজাতিদের একটা বড় অংশই ঝুঁকেছে তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য, নতুন করে কোনও ভাবেই যেন বিজেপি(BJP) আর সেখানে যেন জমি না পায়। আর তাই জনজাতিদের মধ্যে যাতে বন্দুমাত্র ক্ষোভ না থাকে তার জন্য তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে, গ্রামে গ্রামে দুয়ারে সরকার পৌঁছে দিতে চাইছেন তিনি।

তবে শুধু আয়োজনেই সীমিত রাখা হচ্ছে না সব কিছু। কোথায়, কেমন শিবির হচ্ছে, তা দেখতে নবান্ন থেকে নজরদারিও চালানো হবে। জঙ্গলমহলের জনজাতিদের গ্রামে গ্রামে কেমন শিবির হচ্ছে তা দেখতে সেখানে পরিদর্শনে যাবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসকরা। দুই জেলা মিলিয়ে ২৮জন আধিকারিককে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁদের কেউ একটি ব্লক কিংবা একটি শহরের দায়িত্বে থাকছেন। কেউ আবার একাধিক ব্লক কিংবা শহরের দায়িত্বে থাকছেন। কোথায় কোন প্রকল্পে, কতগুলি আবেদন এল, শিবির শেষে রোজ তার পর্যালোচনা করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দুই জেলার প্রশাসনকেই। পরিদর্শন রিপোর্টও জেলায় জমা করতে হবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement