চোপড়ার ঘটনায় Show Cause থানার IC-কে, নির্যাতিতদের পুলিশি সুরক্ষা
নিজস্ব প্রতিনিধি: চোপড়ার ঘটনায়(Chopra Incident) পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। কীভাবে প্রশাসনের নজরের আওতায় থেকেও অসাংবিধানিক ও বেআইনি ভাবে দিনের পর দিন ধরে সালিশি সভা বসানো হতো তা নিয়ে সবাই প্রশ তুলছিলেন। এবার সেই পুলিশের কাছেই এই প্রশ্নের জবাবদিহি চাইল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। সালিশি সভা বসিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে কীভাবে এক যুগলকে এভাবে বেধড়ক মারধর করা হল আর তা কেন ঘটল সেটারই জবাব চাওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের(West Bengal State Police) কাছ থেকে চোপড়া থানার Inspector in Charge বা IC’র কাছে। এদিন অর্থাৎ সোমবার রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, চোপড়া থানার IC-কে Show Cause অর্থাৎ কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
চোপড়ার যুগল নিগৃহের ঘটনায় এদিন রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার কূট প্রয়াস চালানো হচ্ছে।’ একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে এদিন ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘ইসলামপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত চোপড়া থানা এলাকায় এক মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনায় অনেকেই ভুল তথ্য সরবরাহ করছেন। কিন্তু আসল ঘটনাটি হল, ওই বিষয়ে জানার পরেই পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে। এমনকি, নির্যাতিতদের পুলিশি সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থাও করে। পাশাপাশি, চোপড়া থানার আইসি শো-কজ়ও করা হয়েছে এই ঘটনায়।’
যুগলের অত্যাচারের ঘটনার একটি ভাইরাল ভিডিয়ো রবিবার প্রকাশ্যে আসে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবিকে। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ৫টি মামলা করলেও আপাতত আদালত তাজিমুলকে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ দিয়েছে ইসলামপুরের মহকুমা আদালত। ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ৭টি ধারায় ৫টি মামলা রুজু হয়েছে। তার মধ্যে ২টি জামিন অযোগ্য এবং ৩টি জামিনযোগ্য ধারার মামলা। এর আগে জেসিবির বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন-সহ মোট ১২টি মামলা ছিল।